বইমেলায় অন্য বছরের তুলনায় দর্শনার্থীর আগমন বাড়লেও বই বিক্রি বাড়েনি। মেলা শুরুর তৃতীয় দিনে দর্শনার্থীরা শুধু মেলা ঘুরে বই দেখে চলে যাচ্ছেন। তাছাড়া গত শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে মেলায় উপচে পড়া ভিড় হলেও সে অনুপাতে বিক্রি হয়নি। তবে কিছুদিন পর থেকে বিক্রি বাড়বে বলে ধারণা প্রকাশকদের।

রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী ও প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়। তবে নিজ নিজ পছন্দের লেখকদের নতুন বই কিনতেও বইপ্রেমীরা বেশ কিছু স্টলে ভিড় জমিয়েছেন। প্রকাশকদের মতে, দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বই বিক্রি বাড়েনি।

মাওলা ব্রাদার্সের শামীম ইসলাম বলেন, প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন বই দেখতে তবে কিনছেন তুলনামূলক কম। মেলা প্রথম দিকে হওয়ায় বই কেনার হার স্বাভাবিকভাবে কম। তবে দিন বাড়ার সাথে সাথে বিক্রি বাড়বে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

অনিন্দ্য প্রকাশনীর সাদিয়া আক্তার বলেন, মেলায় অনেক বেশি মানুষ আসা সত্ত্বেও বই বিক্রি কম হচ্ছে। তবে কয়েকদিন গেলে আশা করি বিক্রি বাড়বে। তবে আমাদের প্রকাশনীর মোশতাক আহমেদ স্যারেরসহ বেশ কিছু বই অনেক বিক্রি হচ্ছে।

তবে ভিন্ন কথা বলছেন বাতিঘর প্রকাশনীর বিক্রেতা আঞ্জু আরা মীম। তিনি বলেন, অনেক দর্শনার্থী আসছেন বই দেখছেন এবং কিনছেন। আমাদের প্রকাশনী বেশ জনপ্রিয় হওয়ায় পাঠকরা এসে আমাদের কাছ থেকে বই ক্রয় করছেন। সেজন্য অন্যদের মতো আমাদের এখানে বিক্রির তারতম্য হচ্ছে না।

বইমেলায় সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে শিশু চত্বরে। ছুটির দিন হিসেবে সকাল থেকেই চত্বরটিতে হালুম, টুকটুকি, শিশুদের নিয়ে মেতেছিল। দুপুরে শিশু প্রহরের পরে সারাদিন সিসিমপুর মঞ্চে চালু ছিল শিশুদের নিয়ে নানা আয়োজন। শিশু চত্বরে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের বই নিয়ে স্টল সাজিয়েছে ডাক প্রকাশনী।

শিশুমেলায় বই বিক্রিতে ব্যস্ত থাকা অন্তর জানান, ছুটির দিন না হলেও বইমেলা বেশ জমেছে। শিশুদের অঙ্কন বই, সাধারণ জ্ঞানের বইসহ বিভিন্ন বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে শুক্র-শনিবারের তুলনায় বই বিক্রি কম। 

কেএইচ/এমজে