পল্লবী সেকশনে ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমে (ওসিএস) জিরো ভোল্টেজ হয়ে মেট্রো ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

রোববার (৪ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।

তিনি বলেন, আজ মেট্রোরেল চলাচল বন্ধের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আজকের ঘটনা ঘটেছে মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশনে। এটা ইন্টার্নাল না কি এক্সটার্নাল তা তদন্তে জানাতে বলা হয়েছে।

এর আগে, আজ দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে এমআরটি লাইন-৬ এর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর পল্লবী সেকশনে ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমে (ওসিএস)(বৈদ্যুতিক তার) জিরো ভোল্টেজ হওয়ায় প্রায় দুই ঘণ্টা যাবৎ মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকে। 

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমে ভোল্টেজ আপ-ডাউন করে। রেগুলার ১৫০০ ভোল্ট প্রয়োজন হয় ট্রেন চালানোর জন্য। কিন্তু এখন দেখা গেছে— জিরো ভোল্ট হয়ে গেছে। এটা শুধু পল্লবী সেকশনেই। কারণ, সেকশনগুলো পার্টিশন করা। অর্থাৎ পল্লবীর আগে ও পরের সেকশনে ১৫০০ ভোল্টই আছে। শুধু পল্লবী সেকশনের দুটি লাইনেই জিরো হয়ে আছে। যার ফলে ট্রেন লাইনে থাকলেও এই অংশটা ক্রস করে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে, মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। 

এরপর ভোল্টেজ জটিলতা কাটিয়ে ১১০ মিনিট বন্ধ থাকার পর বিকেলে আবার মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। এতে হাফ ছেড়ে বাঁচেন স্টেশনে আটকে পড়া যাত্রীরা।

এমআরটি লাইন-৬ এর দায়িত্বশীল ওই কর্মকর্তা জানান, আমাদের কর্মকতারা দীর্ঘসময় চেষ্টা করে বিষয়টি সমাধান করেছেন। অবশেষে ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট পর বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

এমএইচএন/কেএ