আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল বলেছেন, ইভ্যালির কাছে প্রত্যেক পাওনাদারের দেনা পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে যারা অভিযোগ করেছেন অথবা যারা অভিযোগ করেননি সবাইকেই তালিকা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হবে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাসেল বলেন, শুরু থেকেই ভোক্তাদের কথা চিন্তা করে টাকা ফেরতের বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আমাদের উৎসাহিত করেছে অথবা আমরা বলতে পারি বাধ্য করেছে। এই বাধ্য করানোর কারণে আজ শুধু ভোক্তারা যে উপকৃত হচ্ছেন তেমনটি নয় বরং ইভ্যালিও উপকৃত হচ্ছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এখনো খুব বেশি উৎফুল্ল না। কারণ আজ মাত্র ১৫০ জনের টাকা আমরা ফেরত দিতে পেরেছি।

তিনি বলেন, এই টাকাটা কীভাবে দিচ্ছি সেটি হচ্ছে মূল বিষয়। আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আজ যে ১৫০ জন গ্রাহককে টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে সেটা গত এক মাসে ইভ্যালির ব্যবসা থেকে আয় করা টাকা। এই টাকা আমাদের কমিশনের টাকা। বিক্রেতাদের পণ্য বিক্রি করে আমরা মার্চেন্ট হিসেবে যে কমিশন পেয়েছি সেটা থেকেই গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পেরেছি। আমরা এই ১ মাসে ৬৫ হাজার অর্ডার সফলভাবে ডেলিভারি করেছি। এটা থেকেই আমরা কমিশন উপার্জন করেছি।

রাসেল আরও বলেন, ইভ্যালির এখনকার বিজনেস পলিসি খুব ক্লিন (স্বচ্ছ)। এখন ক্যাশ অন ডেলিভারির সুযোগ রয়েছে। আপনি যখন প্রোডাক্ট পেয়ে টাকা দেবেন তখন সেখানে কোনো ধরনের প্রতারণার সুযোগ থাকে না। আর মার্চেন্টদের টাকাও আমরা হ্যান্ডেল করি না।

ইভ্যালির দুরবস্থার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে রাসেল বলেন, ওই অবস্থাটা একটা এক্সিডেন্ট ছিল। আমি সামলে উঠতে পারিনি। সেজন্য আমি স্যরি বলেছি। এখনো আবার স্যরি বলছি। আমরা কিন্তু ঘোষণা দিয়েছি, যারা অভিযোগ করেছেন অথবা যারা অভিযোগ করেননি সবার দেনাই পরিশোধ করব। আমরা যদি বিজনেস করতে পারি তাহলে যত দেনা আছে সকল দেনাই আমরা পর্যায়ক্রমে হলেও পরিশোধ করতে পারব।

এ সময় ইভ্যালির ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছেন এমন ১৫০ জন গ্রাহককে ১৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগ) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, উপ-পরিচালক (অভিযোগ) মাসুম আরেফিন প্রমুখ।

আরএইচটি/এসকেডি