প্রতিবছরই অমর একুশে বইমেলায় নির্মাণ করা প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলোতে দেখা যায় সৌন্দর্য আর নান্দনিকতার বহিঃপ্রকাশ। ব্যতিক্রম হয়নি এ বছরও। অসংখ্য স্টল ও প্যাভিলিয়নের মধ্যে এবার ব্যতিক্রমী ও নজরকাড়া আয়োজন করেছে অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী। তাদের প্যাভিলিয়নকে ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করেছে ঐতিহ্যবাহী ‘রিকশাচিত্র’। 

সম্প্রতি, জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ‘রিকশা চিত্র’র এমন সুন্দর ব্যবহারে মুগ্ধ মেলায় আশা পাঠক-দর্শনার্থীরাও।

সরেজমিনে দেখা যায়, বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মূল প্রবেশপথ দিয়ে হেঁটে বাঁ দিকে সোজা গেলেই মুক্ত মঞ্চের পাশে প্যাভিলিয়ন করেছে অন্যপ্রকাশ। এতে চারপাশেই আঁকা এবং দুইপাশে বোর্ডে রিকশা চিত্রে সাজানো হয়েছে। এমন সুন্দর আয়োজনকে উপভোগ করছেন বইপ্রেমী ও দর্শনার্থীরাও। এই প্যাভিলিয়নটিকে ঘিরে ভিড় করছেন তারা।

এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের ব্যাপারে অন্যপ্রকাশের ম্যানেজার জাহিদুর রহমান বলেন, রিকশাচিত্রের পরিকল্পনাটি আমাদের প্রকাশকের। মূলত, অমর একুশে বইমেলায় আমাদের প্যাভিলিয়নের সৌন্দর্য বাড়াতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে। আর স্টলের সৌন্দর্য পাঠকদের কাছে আসতে উৎসাহিত করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অন্যপ্রকাশের এই প্যাভিলিয়নকে ঘিরে পাঠক-দর্শনার্থীদের সরব অবস্থানও দেখা যায়। প্যাভিলিয়নের আশেপাশে দাঁড়িয়ে ছবি-সেলফি তুলতেও দেখা যায় তাদের।

রায়হান নামে এক দর্শনার্থী বলেন, এই সাজানোকে ব্যতিক্রমধর্মী মনে হচ্ছে। ঢাকা ঐতিহ্যবাহী রিকশাচিত্রের সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। খুব সুন্দর লাগছে। 

সুমনা ইয়াসমিন নামে একজন বলেন, আজ প্রথমবার মেলায় এসেছি। সব ঘুরে ঘুরে দেখেছি। তবে হঠাৎ এই স্টলে চোখ আটকে গেল। রিকশাচিত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে। বেশ মানানসই হয়েছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও নান্দনিক স্টলের জন্য বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে পুরস্কারের। জানানো হয়েছে, এ বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে।

আরএইচটি/এসএম