জনপ্রিয় শিশুতোষ ধারাবাহিক সিসিমপুরের টুকটুকি, হালুম, ইকরি ও শিকু এখন অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। তারা গানে গানে তুলে ধরছে নিজেদের পরিচয়। হাত মেলাচ্ছে বাচ্চাদের সঙ্গে। তাদের উপস্থিতিতে আনন্দে আত্মহারা শিশুরা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শিশুদের আনন্দে মাতাতে জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুরের এসব চরিত্র স্বয়ং নিজেরাই হাজির হয়েছে বইমেলার শিশু প্রহরে।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম শিশুপ্রহর শুরু হয় বেলা এগারোটায়। শিশু চত্বরে এই আনন্দঘন শিশু প্রহরের উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা।

তিনি বলেন, প্রতিটি শিশুকে জন্মের পর থেকে শব্দের সঙ্গে পরিচিত করতে হবে। তাহলে শিশুরা ধীরে ধীরে পড়তে শিখবে। সিসিমপুর কোনো একটি নির্দিষ্ট ভাষার শব্দ নয়। এটি সব ভাষার শব্দ। সিসিমপুর সারাবিশ্বের শব্দের সঙ্গে আমাদের শিশুদের পরিচয় করাচ্ছে।

শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে বই পড়ার দেশে পরিণত করতে চাই। ‘পড়বো বই গড়বো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে বই পড়তে হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, এবারের বইমেলায় রমনা কালী মন্দির গেট দিয়ে প্রবেশের পর ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে শিশু চত্বর।

আয়োজকরা বলছেন, ২৯ দিন ব্যাপী এই মেলায় সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাকবে শিশুপ্রহর। এছাড়া, অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোদের চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতারও আয়োজন থাকছে।

প্রসঙ্গত, পয়লা ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই বইমেলা চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন ছুটির দিন ব্যতীত বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইমেলা। তবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটের পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন মেলা  সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।

আরএইচটি/কেএ