সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আসল দোষীকে চিহ্নিত করতে যতদিন সময় লাগে, ততদিন সময় দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাগর-রুনি হত্যা মামলার বিচারে কেন বিলম্ব হচ্ছে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সাগর-রুনিকে নিয়ে কথা বলবেন... আমি বুঝলাম। এই মামলায় যদি পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারে, তাহলে কি জোর করে সেই তদন্ত সমাপ্ত করে একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগপত্র দেওয়াটা কি ঠিক? তদন্তে সঠিকভাবে দোষীকে নির্ণয় করতে তাদের সময় দিতে হবে।

তিনি বলেন, এই মামলাটি ব্যতিক্রমী। যেসব মামলায় অপরাধীকে ধরা গেছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ দ্রুত বিচার আইনের অপব্যবহার করেনি

দ্রুত বিচার আইনটিকে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থায়ী করা হচ্ছে। ২০০২ সালে বিএনপি সরকার যখন এই আইনটি পাস করে, তখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল। তখন আওয়ামী লীগ আইনটি নিয়ে সমালোচনা করেছে। অভিযোগ ছিল, বিরোধীদের দমন করতেই এটি করা হয়েছে। কিন্তু এখন এসে আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে- এ বিষয়ে কী বলবেন? এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০২ সালে আইনটি করার পর... সাতক্ষীরা ও বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি অত্যাচার চালানো হয়েছে। যদি আওয়ামী লীগ সেই সময় আইনটির বিরোধিতা করে থাকে, আমার মনে হয় না সেটি খুব অন্যায় বা অযৌক্তিক হয়েছে।

তিনি বলেন, কিন্তু ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা এবং তারপরে সন্ত্রাসবাদ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা দেখলে দেখা যাবে এমন একটি আইনের প্রয়োজন। আপনারা যদি সেটা দেখে থাকেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই আইনের অপব্যবহার করেনি।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যক্তিস্বার্থে বিশ্বজুড়ে ষড়যন্ত্র চলছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটিকে মোকাবিলা করার জন্যই তো আমরা সংবাদ সম্মেলন করছি। আমরা জনসমক্ষে প্রচার মাধ্যমে সত্য তুলে ধরব। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। আমরা কারো অঙ্গুলি হেলনে চলি না। আমাদের দেশে আইন আছে, সেই আইনে দেশ চালাই।

এসএইচআর/কেএ