বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ২০২৪-২০২৫ সেশনের জন্য নতুন কাউন্সিল নির্বাচনে ড. হারুন-অর-রশিদ ও ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের নেতৃত্বাধীন ‘মূলধারা’ প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৭টি পদের মধ্যে ১৩টি পদে জয় লাভ করে এ প্যানেল।

মূলধারা প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। একই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। তিনি গত কাউন্সিলেরও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

অন্যদিকে অধ্যাপক ড. শরীফ আহমেদ এবং অধ্যাপক ড. মো. হাকিম আরিফের নেতৃত্বাধীন ‘মুক্তবুদ্ধি চর্চা’ নামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল থেকে সদস্য পদের ৪টিতে জয়লাভ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রাঙ্গণে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ।

দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. শরিফ উল্লাহ ভুঁইয়া।

মূলধারা প্যানেল থেকে নির্বাচিত অন্যরা হলেন, সহ-সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, ড. সাজাহান মিয়া ও ড. ইয়ারুল কবির। সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম, কোষাধ্যক্ষ পদে ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ। সদস্য পদে অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন, অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. আশা ইসলাম নাঈম, অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, অধ্যাপক ড. নাজমা খান মজলিস ও অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ।

আর ‘মুক্তিবুদ্ধি চর্চা’ প্যানেল থেকে ৪ জন সদস্য পদে নির্বাচিত হন। তারা হলেন, অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল করিম ও অধ্যাপক ড. শুচিতা শারমিন। নির্বাচনে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ১৩০০ সদস্যের মধ্যে ৮২৪ জন সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ৪ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এই কাউন্সিল নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করেন।

এনএম/এসকেডি