রাশিয়ান মুদ্রা রুবলের ব্যবহার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা টেকনিক্যাল ও ফিনান্সিয়াল ইস্যু। এই বিষয়ে উনিও (রুশ রাষ্ট্রদূত) এক্সপার্ট না, আমিও এক্সপার্ট না। ফরেন মিনিস্টার হিসেবে তিনি আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তারা আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। রুবেলের ব্যবহার ইমিডিয়েটলি করতে পারি বলে আমরা মনে করছি।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।

রুবলের ব্যবহার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলোর সবকিছু ফরেন মিনিস্ট্রির হাতে নয়, এটি লাইন মিনিস্ট্রির হাতে। আমরা সহসা যেটি করতে পারব বলে আশা করছি, সেটি হচ্ছে ইনফরমেশন কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে কো-অপারেশন।

তিনি বলেন, ডুয়েল কারেন্সিতে বিনিময় করার জন্য আমরা অনেক দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ভারতের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে, চীনের সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনা আমরা কিছুটা শুরুও করেছি। রুবল বিনিময়ের বিষয়ে তিনি আমাদের সঙ্গে কিছুটা আলোচনা করেছেন। আমরা যদি এটা করতে পারি, তাহলে নির্দিষ্ট কোনো কারেন্সির বিষয়ের ওপর আমাদের ডিপেন্ডেন্সি কমবে। এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য অবশ্যই সহায়ক।

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রাশিয়ার অর্থায়নে ও টেকনোলজিক্যাল সাপোর্টে আমরা নির্মাণ করেছি। এটি খুব সহসাই উৎপাদনে যাবে। আমরা নিউক্লিয়ার ন্যাশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছি। এছাড়া রাশিয়া আমাদের দেশ থেকে অনেক কিছু আমদানি করে। আমরা রাশিয়া থেকে গমসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করি। বাণিজ্য বাস্কেট আরও বিস্তৃত করার জন্য আমরা আলোচনা করেছি। রাশিয়া সফরের জন্য তারা আমাদের প্রধান বিচারপতিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) পেন্ডিং আছে, সেসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি অনেক কথা বলেছে। এ পার্লামেন্ট নিয়েও অনেকে অনেক কথা বলছে। গতকাল এই পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন ছিল। সেই অধিবেশনে আমেরিকা, রাশিয়া, ইউকে, ইইউ, চীন ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মিলে ৮০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাহলে এটাকে কী ট্রাস্টেড বলা যায়? আপনারা সাংবাদিক... আপনারাই ভালো বুঝবেন।

ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে হাইকোর্টের একটি রিট নির্দেশনা দেওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমি হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই। আমি মনে করি এই রায় দেওয়াতে যথেচ্ছভাবে যাকে-তাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধ হবে। যদিও সরকারের সেই রকম কোনো নির্দেশনা নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডান্ডাবেড়ি না পরানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এখন নিশ্চয়ই সেটি বন্ধ হবে। হাইকোর্টের এই রায় অত্যন্ত ভালো রায়।

এমএইচএন/কেএ