নানা অজুহাতে মুভমেন্ট পাস ছাড়াই ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ জারির সপ্তম দিনে সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি নির্দেশনা পরিপালনে অনীহা দেখা গেছে। অনেকেই মুভমেন্ট পাস ছাড়া ঘর থেকে বেরিয়েছেন। যদিও বিধিনিষেধ জারির শুরুর দিকে এ ধরনের প্রবণতা তুলনামূলক কম ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।   

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলাকালে ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা চালু করেছে পুলিশ। কিন্তু বিধিনিষেধের শুরুর দুদিন ছাড়া বাকি দিনগুলোয় মুভমেন্ট পাস ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়াদের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। নানা অজুহাতে মুভমেন্ট পাস ছাড়াই মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন।

এছাড়া যে সব পেশার মানুষদের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে বের হওয়ার কথা তারাও এ নির্দেশনা পালন করছেন না। এতে প্রায়ই ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তাছাড়া সাধারণ মানুষের সহযোগিতা না পাওয়ায় মাঠ পর্যায়ে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকেও পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর প্রগতি সরণীর নতুন বাজার ও কোকাকোলা চেকপোস্ট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি চেকপোস্টে ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য বিধিনিষেধের নিয়ম অনুযায়ী মুভমেন্ট পাস ও পরিচয়পত্র যাচাই করছেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রাইভেটকারের যাত্রীরা সব থেকে বেশি তল্লাশির সম্মুখীন হচ্ছেন। রিকশার যাত্রীদের তেমন একটা তল্লাশির মধ্যে পড়তে হচ্ছে না।

চেকপোস্টে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিধিনিষেধের প্রথম দুদিন সাধারণ মানুষ মুভমেন্ট পাসসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘর থেকে বের হয়েছেন। কিন্তু এর পর থেকেই নিয়ম মানার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে উদাসীনতা চলে আসে। অনেকেই মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হচ্ছেন না। আবার কেউ নিয়ে বের হলেও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি, অনেকে আবার মাস্কও ব্যবহার করছেন না। ফলে চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কোকাকোলা চেকপোস্টে কর্মরত ভাটারা থানার উপপরিদর্শক হাসান পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন মুভমেন্ট পাসের ব্যবহার কমে গেছে। মুভমেন্ট পাস না আনার হাস্যকর যুক্তি দিচ্ছে মানুষ। এদের মধ্যে অনেককে আমরা জরিমানা করছি, আবার অনেককে বাসায় ফেরত পাঠিয়েছি। এছাড়া জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই নিজের পরিচয়পত্র নিয়ে বের হচ্ছেন না। ফলে প্রথম দুই দিনের তুলনায় আমাদের কাজ এখন অনেক কঠিন হয়ে গেছে

সরেজমিনে আরও দেখা যায়, গত ৬ দিনের তুলনায় প্রগতি সরণী এলাকায় প্রাইভেটকার ও রিকশার উপস্থিত বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে মানুষের চলাচলও। এছাড়া রাস্তা, অলি-গলিতে মানুষের আড্ডা ও জমায়েত বেড়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।  

এমএসি/এসকেডি