তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, সুযোগ যেহেতু পেয়েছি কিছু জায়গায় মৌলিক পরিবর্তন সত্যি সত্যি আনতে চাই। তবে আমার এমন কোনো ইনটেনশন নেই যে, সবকিছুতে আমি মাথা ঢুকাবো।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দরকার, এ ব্যাপারে এই সমাজে কারো কোনো দ্বিমত নেই। একইসঙ্গে অপতথ্যকেও দমন করা দরকার। অপতথ্য যে সমাজে আছে সে ব্যাপারেও কারো কোনো দ্বিমত নেই। এটিই যদি সত্য হয় এবং আমরা যদি একমত হই এটি দমন করার উপায়, আমরা সবাই কেন খুঁজে বের করছি না। তাহলে কি আমাদের মধ্যে অনেকে সামনে এক কথা বলছি, আর পেছনে আরেক কথা বলছি। 

তিনি বলেন, আমরা যেটা বলব সামনে পেছেনে সমান কথা বলতে হবে। তাহলে পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা আনা যাবে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কিছুদিন আগে কতগুলো কংগ্রেস ম্যান বিশাল একটি সংখ্যা দিয়েছে যে, ২০-২৫ হাজার বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কীভাবে পেল এই সংখ্যাটা? আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা বলব তালিকাটা দেন। আপনি কিসের ভিত্তিতে বললেন?

‌‘কি করে এটা হয়, জানেন? এটা নিয়ে অপপ্রচার করতে থাকে। বিভিন্ন মিডিয়া ক্যারি করে, হয়তো কোট করে। সেটা রেফারেন্স হয়ে যায়, আর সেটা দেখে তারা চিঠি লিখেন। তারপর একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। ওটাকে ঘিরে আমাদেরকে বিপদে ফেলার চেষ্টা। এই ফাইটটাতে আমাদের খুব সতর্ক থাকা দরকার।’

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমিও চিন্তা করেছি, আমাদের যে জনসংযোগ কর্মকর্তারা রয়েছেন তাদের একটা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করব। আজকের বাস্তবতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হয়, সেটা নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের মধ্যে একটা সহযোগিতার কাঠামো তৈরি করতে চাই। যাতে আমরা দ্রুত তথ্য বিনিময় করতে পারি। আমাদের আত্মসমালোচনাও দরকার।

এসএইচআর/এমএ