২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারসহ বিভিন্ন প্রকল্পের শত কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের অনুমোদনক্রমে দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটি দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হয়। নামকরণ করা হয় শেখ হাসিনা মহাসড়ক। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আওতায় পাঁচটি প্যাকেজে এ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় ৮২ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে মহাসড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও তিন বছরের মধ্যে সড়কটির বিভিন্ন অংশ বেহাল হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ২০২১-২২ অর্থবছরে মহাসড়কটি সংস্কারে আরও ৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৫ টাকা ব্যয় ধরা হয়। 

এ সময় মহাসড়কের মস্তফাপুর থেকে ডিসি ব্রিজ পর্যন্ত সাড়ে ছয় কিলোমিটার চার লেন ও ডিসি ব্রিজ থেকে খোয়াজপুর পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার দুই লেন সংস্কারকাজ করে বরিশালের ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেড (ওটিবিএল) নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি যেনতেনভাবে সংস্কারকাজ করেন। চুক্তিমূল্যের ৫ শতাংশ টাকা জামানত রেখে ৭ কোটি ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬৯ টাকা তুলে নেয়। এছাড়া ছোট ছোট আরও কিছু প্রকল্পের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

আরএম/এনএফ