বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, নির্বাচনী খেলার আগে অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১৫০০ বেশি নেতাকর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। অন্যায়ভাবে তাদেরকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আইনমন্ত্রী বললেন এটা নাকি কাকতালীয়। ওনারা ইচ্ছে করে করেননি। এতোদিন হয় না সাজা, ঠিক নির্বাচনের আগে দিয়ে রাতে পর্যন্ত আদালত বসিয়ে শত শত নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হয়েছে। এটি কাকতালীয় মনে হয় আপনাদের? এটি আপনাকে আমাকে ভয় দেখানোর জন্য করা হয়েছে। আমরা ভয় পাইনি। ওটাতো ছোট জেল, এই সরকার গোটা বাংলাদেশকে কারাগার বানিয়ে রেখেছে। বিএনপির কোনো কর্মী ওই ছোট কারগারকে ভয় পায় না।

শনিবার (২৭ জানুয়ারী) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউরী নুর আহমদ সড়কে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি ও অবৈধ সংসদ বাতিলের এক দফা দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি যৌথভাবে কেন্দ্রঘোষিত এই কর্মসূচির আয়োজন করে। 

এসময় নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে, হাতে কালো পতাকা নিয়ে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে লাভ লেইন, এনায়েত বাজার, জুবলী রোড় হয়ে তিন পুলের মাথায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল শেষ করে। 

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার ও দক্ষিণ জেলা আবু সুফিয়ান।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগে বলা হতো বিনা ভোটের সরকার। কারণ ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে কোনো প্রার্থী ছিল না। ২০১৮ সালে হলো নিশি রাতের নির্বাচন। কারণ রাতেরবেলা ব্যালট বাক্স ভর্তি। আর এবার সরকারকে সারা দুনিয়া বলছে, এটা ডামি সরকার। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বেলা পাঁচটায় সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ভোট পড়েছে ২৮ শতাংশ। পাশে থেকে একজন বললেন, না স্যার ৪০ শতাংশ। পরে তিনি বললেন, ৪০ শতাংশ।

তিন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে জনগণের কোনো মূল্য নেই। তাই তারা জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করছে না। নিজেদের আখের গোছানোর জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণকে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ আজ পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা। জনগণের কোনো মূল্য আওয়ামী লীগের কাছে নেই, কারণ তারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে।

তিনি আরও বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি যেন আদায় করতে না পারি তার জন্য মিথ্যা বানোয়াট একটি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ জানে, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার কাছে তাদের অন্যায় অত্যাচার টিকবে না।

এমআর/এমএসএ