গুজব ও অপতথ্যমুক্ত গণমাধ্যম চাই : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, আমরা গুজব ও অপতথ্যমুক্ত গণমাধ্যম চাই। যেখানে শুধু তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকবে। যেখানে শুধু তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকবে। সরকার বা অথরিটিকে অবশ্যই প্রশ্ন করবে এবং সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। শুধু প্রশ্ন না, সমালোচনারও সুযোগ থাকতে হবে আমরা এটা চাই। তবে সেই সমালোচনা যেন সঠিক তথ্যের ওপর হয়, সেই বিষয়ে আমরা জোর দিতে চাই।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রথম যে কেবিনেট মিটিং হয়েছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী আমাদের একটা কথা বলেছেন এবং সেটি খুবই প্রবিধান যোগ্য। উনি বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা হবে, আমরা যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। কিছু কিছু সমালোচনা হয় সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে, সেখান থেকে আমাদের যে ধরনের ব্যর্থতা বা বিচ্যুতি আছে সেটা জেনে সেগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ক্রিটিসিজমের বিপক্ষে না। কিন্তু উনি চান ক্রিটিসিজম হোক সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।
আরও পড়ুন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় মিথ্যা তথ্যের চেয়ে অর্ধসত্য তথ্য অনেক বিপদজনক হয়। পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে না ধরে পারশিয়াল একটা ইনফরমেশনের ওপর ভিত্তি করলে অডিয়েন্স কিন্তু বিভ্রান্ত হয়। গণমাধ্যম সরকারকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনবে এটাই কাম্য এবং আমরা জবাব দেব। একই সঙ্গে গণমাধ্যম বা অন্য কিছুকে ব্যবহার করে যারা অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অপচেষ্টা করে সবাই মিলে আমরা তাদের একটা সলিট স্ট্রাকচারের মাধ্যমে জবাবদিহিতায় আনতে পারি। এ বিষয়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র এবং অগ্রগতির স্বার্থে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেওয়া খুবই জরুরি। ঠিক একইভাবে ক্ষতিকর অপতথ্য এবং তার বিস্তার রোধ করাও জরুরি। কারণ অপতথ্য মানুষের কোনো কল্যাণে আসে না। কোনো গুজব বা অর্ধ সত্য তথ্য গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের কোনো কল্যাণে আসে না। সরকার, রাজনীতির কোনো কিছুর কল্যাণে আসে না। সেক্ষেত্রে আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কীভাবে গুজব রোধ করতে পারি এ রকম চেষ্টা করা।
এসএইচআর/এমএ