বায়ুদূষণ কমাতে আগামী ১০০ দিনের কর্মসূচি হিসেবে ঢাকার আশপাশের ৫০০ অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স তিনশর উপরে থাকলে ক্ষতিকর, আমাদের দেশ সেটা অনেক আগেই অতিক্রম করেছে। এ অবস্থায় বায়ুদূষণ কমানোর জন্য কী পরিকল্পনা নিচ্ছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, প্রথমে আমরা বায়ুদূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করছি। উৎস কী, সেটা না জানলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আরেকটা বিষয় হলো বায়ুর মান যখন খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তখন আমরা একটা অ্যালার্ট ইস্যু করতে চাই। জনসাধারণকে বলতে চাই, আজ আমাদের বায়ুর যে মান আছে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য প্রচন্ড ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং তাদের যদি জরুরি কাজ না থাকে তাহলে যেন ঘরের বাইরে না যায়। এ ছাড়া ডব্লিউএইচও বলছে মাস্ক পরতে হবে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে একটা ঘোষণা দেওয়া, এটা আমাদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, ঢাকার আশপাশে যে অবৈধ ইটভাটা আছে, সেগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছি। সেটা দিয়ে পুরো সমস্যা সমাধান হবে না। ঢাকা শহরে সিমেন্ট, বালি পরিবহন হয়, নির্মাণকাজ হচ্ছে সেগুলো ঢেকে রাখার নিয়ম আছে। এজন্য সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা যে কাজটা করতে চাই, সেটা হলো– এখন যে বায়ুর মান আছে সেটা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এখানে আমাদের অবশ্যই কিছু করতে হবে। এজন্য সময়ের প্রয়োজন। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমরা ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করব। সেখানে এসব বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে।

কতগুলো ইটভাটা অবৈধ আছে, আর কতোগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে– জানতে চাইলে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আদালতের হিসাবে ২ হাজারের মতো অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। আমরা প্রথমে ঢাকার আশপাশে স্থায়ী চিমনিগুলো চিহ্নিত করছি। ১০০ দিনের কর্মসূচিতে দিনে গড়ে তিন থেকে চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেব। ১০০ কর্মদিবসের লক্ষ্য হচ্ছে ৫০০ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেব।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশে এক হাজার অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এ ধরনের ইটভাটা সম্পূর্ণ অবৈধ।

তিনি বলেন, এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড ঘিরে দুর্নীতি হয়। অবৈধকে বৈধ করতে নানা ধরনের লেনদেন হয়। আমরা চাইছি এটা নির্মূল করতে। আমরা চাই না এ ধরনের ইটভাটা থাকুক।

এসএইচআর/এসএসএইচ