যশোরের বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

যশোরের বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন বিজিবি সদস্য নিহত হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে কোন আলোচনা হয়েছে কি না? একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘না, এগুলো আলোচনা হয়নি, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’

হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু তাদের সঙ্গে আমাদের সমুদ্র, নদী এবং স্থলবন্দরের একটা যোগাযোগ ও সম্পর্ক এই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সেই বিষয়গুলো আরও কীভাবে সুন্দর করতে পারি, আরও বেশি সেবা দিতে পারি, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের দেশে যে উন্নয়ন ভারত চায় সেগুলোর সঙ্গী থাকতে।

আরও পড়ুন

পায়রা বন্দর এবং মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর নিয়ে তাদের আগ্রহ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, পায়রায় যে অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে, ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তারা ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলবে এবং পায়রা বন্দর পরিদর্শনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ভারতের ভিসা পাওয়া নিয়ে জটিলতা রয়ে গেছে। এ বিষয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিসা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। যারা চিকিৎসা করতে যায় এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের সব ফর্মালিটি শেষ হয়। আমরা বলেছি, যেহেতু নৌ-পর্যটন শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী ক্রুজ চলে গেছে কলকাতায়। অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে কথা বলেছি, এগুলো নিয়ে তারা কাজ করবে। এ ব্যাপারে আমরা আরও ভালো সংবাদ পাবো।

ভারত ও চীনের রাষ্ট্রদূতরা সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছেন, এটা কি অন্য কোনো দেশকে মেসেজ দেওয়া, এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার তৈরি করার জন্য অনেকেই কথা বলেছিল। প্রধানমন্ত্রী সেটা সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। যারা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় ছিল তারাও কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে চলে এসেছে। যে শঙ্কাটা ছিল সেটা কিন্তু নির্বাচনে দেখা যায়নি।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে যশোরের বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ -এর গুলিতে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) এক সদস্য নিহত হন। এ ঘটনার পর বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠক করে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়েছে।

এসএইচআর/এসএম