কুলাউড়ায় জিলান হত্যায় সরাসরি জড়িত আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এলাকায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে জিলান হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত অভিযোগে দায়ের করা মামলার পলাতক আসামি মিজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ এর একটি দল।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল মিজু (৩০) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া দস্তরমুড়ির গিয়াস মিয়ার ছেলে।
র্যাব-১০ এর অপস অফিসার উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া এলাকায় ভিকটিম হোসাইন মোহাম্মদ জিলান (২৩) তার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। ঘটনার আগে থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে আসামি আব্দুল্লাহ আল মিজুর পূর্ব বিরোধের জেরে মামলা-মোকদ্দমা চলছিল।
আগের মামলার জের ধরে মিজুসহ অন্য আসামিরা ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের ওপর সবসময় আক্রোশ প্রকাশ করত এবং ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারের লোকজনকে খুন করবে বলে হুমকি দিত।
গত বছরের ৩ জুলাই ভুক্তভোগী জিলান তার ছোট ভাইকে কুলাউড়া বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রওনা করে। ঘটনার দিন আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে কুলাউড়া পৌরসভাধীন দক্ষিণ বাজারের আয়েশা টেলিকমের সামনে পৌঁছা মাত্র পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামি মিজুসহ আরও ১৩-১৪ জন আসামি দলবদ্ধভাবে একত্রিত হয়ে ভিকটিম হোসেন মোহাম্মদ জিলানকে দা, চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
ঘটনার একপর্যায়ে রাস্তায় চলাচল করা লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন ভিকটিম জিলানকে উদ্ধার করে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে গত ৭ জুলাই রাতে জিলান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
ওই ঘটনায় জিলানের বাবা আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানায় হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আব্দুল্লাহ আল মিজুসহ ৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি আব্দুল্লাহ আল মিজুকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অধিনায়ক র্যাব-১০ বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। ওই পত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি দল হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে রাজধানী ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ আল মিজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মিজু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তিনি মামলার পর থেকে ভাটারাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন বলে জানা গেছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
জেইউ/এসএসএইচ