সড়কে ভিড় ও ভাড়া দুটোই বেড়েছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিন রাজধানীর সড়কে অন্য দিনের তুলনায় মানুষের চলাচল বেড়েছে। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
যাত্রীরা বলছেন, জরুরি প্রয়োজনে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে হলে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেলই একমাত্র ভরসা। কিন্তু প্রত্যেকটি যানবাহনেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে সড়কে মানুষের সংখ্যা ততই বাড়ছে। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের জিম্মি করছেন রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে গুলিস্তান যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন নাঈমুল ইসলাম নামে এক যাত্রী। তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। কিন্তু গার্মেন্টসসহ অধিকাংশ অফিসই খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা মার্কেটিংয়ের কাজ করেন তাদের প্রতিদিনই বের হতে হয়। কিন্তু এসব মানুষ রাস্তায় কীভাবে চলাফেরা করবে সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই। আমাদের এখন যাতায়াতের জন্য হয় রিকশা, না হয় সিএনজিচালিত অটোরিকশা অথবা মোটরসাইকেলে চলতে হচ্ছে। তাও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে।
বেশি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে মোটরসাইকেলচালক নয়ন বলেন, আসলে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস বন্ধ। লকডাউনের প্রথম দুতিন দিন আমরা বের হয়নি। এরপর পেটের তাগিদে রাস্তায় বের হয়ে যাত্রী আনা নেওয়া করছি। রাইড শেয়ারিং বন্ধ থাকায় রাস্তায় আমাদের দেখলেই ট্রাফিক সার্জেন্টরা মামলা দিচ্ছেন। তাই ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছি।
তিনি আরও বলেন, গত দুদিন থেকে রাস্তায় প্রচুর মানুষ দেখা যাচ্ছে। গণপরিবহন বাদে সব ধরনের যানবাহনই চলছে। বিপুল সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য গাড়ির সংখ্যা অনেক কম। তাছাড়া পুলিশের মামলার ভয় তো আছেই। এজন্য বেশি ভাড়া আদায় করতে হচ্ছে।
রাজধানী বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন। বাইরে বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ জানতে চাচ্ছেন।
রাজধানীর রামপুরা টিভি সেন্টারের সামনে পুলিশের চেকপোস্টের কারণে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ চেকপোস্টে ১০-১৫ জনের পুলিশের একটি টিম যানবাহনের গতিরোধ করে যাত্রীদের বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছে। এ সময় মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া যাত্রীদের নামিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। সেই সঙ্গে রিকশা এবং সিএনজিতে বেশি যাত্রী থাকলেও তাদেরও নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সিএনজি অটোরিকশাচালক আব্দুল মান্নান বলেন, সড়কে মানুষের ব্যাপক চাপ। তাই আমরাও বেশি রোজগারের আশায় গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু মাঝেমধ্যেই ট্রাফিক সার্জেন্ট গাড়ি থামিয়ে মামলা দিচ্ছে। বাড়তি ঝুঁকির কারণেই ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে।
এএসএস/এসকেডি