বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর ডিজিটাল উদ্যোক্তারা। সেজন্য তরুণ উদ্যোক্তারা যা চায়, সেভাবে তার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য আমরা প্রস্তুত।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সিলারেটর’ কার্যক্রমের দুটি কোহর্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প (ডিড) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জাফরউল্লাহ বলেন, ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের জন্য ডিড প্রকল্পের মাধ্যমে ধাপে ধাপে প্রি-সিড, সিড ফান্ড, কোম্পানি গঠন, আইপি রেজিস্ট্রেশন, মেন্টরিংসহ বিপণন সহায়তা দিয়ে আমাদের দেশীয় স্টার্টআপগুলোকে আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ে যেতে সহায়তা করা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ যে সময়ের মধ্যে করার কথা ছিল, তার আগেই আমরা বাস্তবায়ন করে ফেলেছি। আমাদের সাহস ও সামর্থ এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যাতে আমরা তরুণদের ওপর ভরসা করে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশও সময়ের আগেই বিনির্মাণ হবে বলে আশা করছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সে সৈনিক দরকার তারা এদেশের উদীয়মান স্টার্টআপ। যারা একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ সৃষ্টি করে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য আমরা নতুন নতুন ইনোভেটিভ আইডিয়া তরুণদের কাছ থেকে আশা করি।

ডিড প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক ও জেলা পর্যায়ে আইটি বা হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের (১২ আইটি) প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিড প্রকল্পের ইনোভেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন স্পেশালিস্ট এ এন এম সফিকুল ইসলাম, এনডিই ইনফ্রাটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাকসুদুল ইসলাম, স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সিলারেটর কার্যক্রমের সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিড প্রকল্পের ইনোভেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন স্পেশালিস্ট এ এন এম সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী আইডিয়া বিকশিত করতে কাজ করছে ডিড প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় তিন হাজার স্টার্টআপকে ইনকিউবিশেনে সহায়তা দেওয়া হবে। অন্যদিকে স্টার্টআপ এক্সিলারেটর কার্যক্রমের মাধ্যমে এক হাজার স্টার্টআপ কোম্পানির বিকাশে সহায়তা করা হবে। আমরা আশা করি আজকের স্টার্টআপদের মধ্যে থেকেই বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উদ্যোক্তাদের আইডিয়াকে বিকশিত করতে ডিড প্রকল্পের অধীনে শুরু হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যাকসেলারেটর কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের আওতায় আরো দুটি কোহর্ট শুরু হয়েছে। এর মধ্যে একটি কোহর্ট হচ্ছে ইউমেন লিড স্টার্টআপদের নিয়ে।

সভাপতির বক্তব্যে এ কে এ এম ফজলুল হক বলেন, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে ডিজিটাল উদ্যোক্তা হওয়ার পথটি এখন মসৃণ। পর্যাপ্ত সহায়তা ও পরামর্শ পেলে অনেক সফল স্টাটআপ সৃষ্টি হবে। স্টার্টআপদের জন্য সারা দেশে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের রয়েছে অবকাঠামোগত ও অন্যান্য সুবিধা। এই সুবিধা ব্যবহার করে স্টার্টআপরা সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন।

অনুষ্ঠানের শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যাকসেলারেটর কার্যক্রম প্রকল্পের কারিকুলাম, লার্নিং পোর্টাল এবং প্রকল্পের সাপোর্ট টিমের সাথে পরিচয় পর্ব পরিচালনা করেন সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান।

আরএইচটি/পিএইচ