করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে দেশে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরে প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'কোভিড-১৯ রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধের বিষয়ে গত ১২ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। সে প্রজ্ঞাপনে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। সেটি আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানোর একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২২ এপ্রিল থেকে আরও সাত দিন।'

সুরথ কুমার সরকার বলেন, 'একটি (আজ) ইমার্জেন্সি সভা হয়েছে। সভাতে ক্যাবিনেট সচিব সভাপতিত্ব করেন। ওখানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবসহ সংশ্লিষ্ট সচিবরা ছিলেন। এছাড়া পুলিশ মহাপরিদর্শক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও ছিলেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে আগামী আরও এক সপ্তাহ এটি বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, '১২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপনে যে বিষয়গুলো ছিল, ওটা আরও এক সপ্তাহ বলবৎ থাকবে। তবে প্রজ্ঞাপনটি এখনো জারি হয়নি। হয়তো আজকে না হলে কালকে জারি করা হবে।'

এর আগে রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভায় বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রস্তাব গৃহীত হয়। ধীরে ধীরে এ বিধিনিষেধ শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা তৈরি রাখারও পরামর্শ দিয়েছে ওই কমিটি।

আরও পড়ুন : আরও এক সপ্তাহের ‘লকডাউন’ চায় কারিগরি কমিটি

দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় প্রথম দফায় গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়, যেটি পরে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলে।

এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ‘সার্বাত্মক বিধিনিষেধ’ শুরু হয়। এটি শেষ হবে ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে।

দেশে সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি
১৯ এপ্রিল (সোমবার) দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পর পর তিন দিন করোনায় শতাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ভাইরাসটিতে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৪৯৭ জনে।

এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৭১ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ২৩ হাজার ২২১ জনে। ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৬৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ২১ হাজার ৩০০ জন।

এসএইচআর/এসএম/জেএস