ভোট বর্জনকারীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, একটি গোষ্ঠী ভোট বর্জন করেছে এবং দেশের জনগণকে হুমকি ধামকি দিয়েছিল ভোট বর্জন করতে। তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, ভোটের দিন হরতাল ডেকেছিল। কিন্তু আমরা বলেছিলাম ভোটে যারা নির্বাচন বর্জন করে, অগ্নিসংযোগ করে, ভোটের দিন হরতাল দেয়, তাদের বর্জন করতে হবে। ঢাকা-১৭ আসনের মানুষ নির্বাচনে দ্বিগুণ ভোটে আমাকে নির্বাচিত করে ভোট বর্জনকারীদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মানিকদী আদর্শ বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, এই ভোট ছিল ভোট বর্জনকারী সন্ত্রাসীদের প্রত্যাখ্যানের নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়েছি। আমরা বলেছিলাম যে, এই নির্বাচনটি শুধু আমাদের এমপি হওয়ার নির্বাচন নয়, বাংলাদেশের রাজনীতি এবং আগামী দিনের রাজনীতি ও বাংলাদেশের নির্বাচন কেমন হবে, তা নির্ধারিত হবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে। একটি দল অতীতে কখনো গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করেনি, গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করেছে, ভোট চুরি করেছে। যখন তারা বিরোধী দলে ছিল, তখন তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এই দল এবং গোষ্ঠী গণতন্ত্রের বিপক্ষে, নির্বাচনের বিপক্ষে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিপক্ষে। কাজেই তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য আমরা ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছিলাম। শত বাধা, হুমকি, ভয়-ভীতি ও সন্ত্রাস সবকিছুকে না বলে জনগণ ভোট বিপ্লব করেছে। গোটা বাংলাদেশ তাদেরকে না বলেছে।
তিনি বলেন, মানিকদীবাসীর যতগুলো দাবি রয়েছে আমরা কিন্তু সেগুলো ধাপে ধাপে পূরণ করার চেষ্টা করছি এবং করব। আমি যা কিছু করি না কেন, ঢাকা-১৭ আসন আমার আগে। আপনাদের ভোটের কারণে কিন্তু আমি আজকে প্রতিমন্ত্রী হতে পেরেছি। আপনারা আমার জন্য নির্বাচনে যে সময় দিয়েছেন, কষ্ট করেছেন, সেজন্য আমরা বিগত দিনে উপনির্বাচনে যে ভোট পেয়েছিলাম, এবার সংসদ নির্বাচনে তার দ্বিগুণ ভোট পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি এলাকার অনেক সমস্যার কথা শুনেছি। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও রাস্তাসহ অনেক সমস্যা রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি রাস্তা আমি উদ্বোধন করেছি এবং আজ চারটি রাস্তার কাজের উদ্বোধন হয়েছে। আগামীকাল আমি আরও একটি রাস্তার কাজের উদ্বোধন করব। মাটির নিচের গ্যাস শেষ হওয়ার কারণেই গ্যাসের সমস্যাটা হচ্ছে। তবে আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই এই সমস্যাটি সমাধান করতে পারব। তবে ভবিষ্যতে আমাদের এলপিজি ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চান। তার নেতৃত্বে একজন কর্মী হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবে, আগামী পাঁচ বছরে মধ্যে আমি আপনাদের সব সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করব। কিছু কিছু সংস্থা আছে যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে ও নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, নির্বাচনে বিশ্বাস করি ও মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এই সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এ দেশে স্বাধীনভাবে আমরা চলব। কোনো অপশক্তি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের কথায় আমাদের এই দেশ চলবে না। কাজেই আমাদেরকে মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের জ্ঞান দেবে, আমাদেরকে কটাক্ষ করবে, এটার জবাব আমাদের দিতে হবে। সবার ওপরে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আছেন। তার যে ত্যাগ, যে সাহস, যে ভালোবাসা আমাদের দেশের জন্য, আমাদের জন্য, আমরা ইনশাল্লাহ তার নেতৃত্বে আরও এগিয়ে যাব সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে।
/এমএইচএন/কেএ