ডেঙ্গুর পরিমাণ কমে যাবে সেটা বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

আজ (বুধবার) বেলা ১১টায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গুসহ মশবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটির ২০২৪ সালের প্রথম সভার শুরুত তিনি এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

পরিবেশবান্ধব কীটনাশক আমদানির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব কীটনাশকই আমরা ব্যবহার করি। ২০১৯ সাল থেকে এটা আমরা আমদানি শুরু করেছি। ইতোমধ্যে আরও কিছু কিছু কীটনাশক আবিষ্কার হয়েছে, যেটা আরও বেশি কার্যকরী এবং পরিবেশের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ। সেগুলো ইতোমধ্যে আমরা বাণিজ্যিকভাবে আমাদানির জন্য বিভিন্নজনকে উৎসাহিত করছি। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো সীমিত আকারে এটি ব্যবহার করছে। 

এক বছরের কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিবছরই কর্মসূচি আছে। এ বছরের জন্য আমাদের নতুন কোন থ্রেট আছে কি না সেটি আমরা সবাই মিলে চিহ্নিত করতে বসেছি। 

বিগত বছরের মতো ডেঙ্গুর ভয়াবহতা এ বছর দেখব না— এমনটা আশা করা যায় কি না? এমন প্রশ্নের জবাব তাজুল ইসলাম বলেন, এটা আমি বলতে পারব না। কারণ সারা বাংলাদেশে এটি সংক্রমিত হয়ে গেছে। এটার পরিমাণ কমে যাবে সেটা বলা যাবে না।

অনেক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ায় রেকর্ডের বাইরে থাকে, সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটাই একমাত্র পন্থা। আপনি আক্রান্ত হয়েছেন এটা আপনার জানতে হবে। আপনি আক্রান্ত হয়েছেন এটা না জানলে কাউন্ট কিভাবে করবে? মশা নিয়ে এবার কলকাতায় মিছিল হয়েছে। কলকাতার উদাহরণ দেই সেটি ঠিক আছে, কারণ কলকাতা আমাদের থেকে অনেকটা এগিয়ে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার জন্য তিন হাজার মানুষ আছে কীটনাশক ছিটানোর জন্য। ঢাকার বাইরেও সেই ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। ভলান্টিয়ার দিয়ে এটি করার ব্যবস্থা করছি। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকেও সচেতন করতে হবে। হঠাৎ করে একটি দুর্যোগ আসতে পারে। এখন কোভিড বিষয়ে সবাই জানে। সেজন্য জনসচেতনতা সবার দরকার।

এমএম/এনএফ