আসন্ন রমজানে পণ্য সরবরাহ ও মূল্য ঠিক রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বাজারে পণ্যের দাম নিয়ে যারা কারসাজি করে তাদের নজরদারিতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গঠিত নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যেটা সবচেয়ে বেশি আলোচিত সেটা হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি। পণ্যের দাম বেশি অথচ খাদ্যপণ্যের অভাব নেই। 

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কারসাজি যারা করে তাদের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সামনে আমাদের রমজান মাস। আমাদের খাদ্যপণ্য আমদানি করে সীমিত কয়েকটি গ্রুপ। তারাও এখানে সব সময় একটা খেলা খেলতে চায়। সেই ক্ষেত্রে এখন থেকে আমাদের একটু প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিনি বলেন, রমজান মাসে যে পণ্যগুলো আমাদের বেশি লাগে সেগুলোর মূল্য যেন ঠিক থাকে এবং সেগুলো যেন বাজারে পাওয়া যায় সরবরাহ যেন ঠিক থাকে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

পণ্যের দাম কৃষক এবং ভোক্তা উভয়ের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার খাদ্যপণ্যের যখন দাম বাড়ে তখন কৃষক খুশি হয়। কিন্তু যারা ভোক্তা তারা দুঃখ পায়। তাদের উপরে চাপ এসে পড়ে। এটাকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে, এটাকে কীভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় এ বিষয়ে আমাদের খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। 

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধি যেটা হবে মূল্যস্ফীতি তার চাইতে কম থাকতে হবে। তাহলেই তার সুফলটা দেশের সাধারণ মানুষ পাবে।

তিনি আরও বলেন, মুদ্রাস্ফীতি আমরা কমিয়েছি, খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ১২ শতাংশ উঠে গিয়েছিল, সেটাকে কমিয়ে নয় ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। অন্য সব মিলিয়ে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। কিন্তু এটাকে আমাদের আরও কমাতে হবে। 

নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।

সভা শেষে বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব  মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদেরকে তার পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে আগামী পবিত্র রমজান মাসে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং একই সঙ্গে রমজান সংশ্লিষ্ট পণ্য যেটার চাহিদা বেড়ে যায় সেগুলো সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সে ব্যাপারেও কাজ করার জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।

এমএসআই/এসএইচআর/এমএ