রাজধানীর কলাবাগান থানার পান্থপথ গ্রিন রোডের একটি বাসার সাততলা থেকে শাড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে হামিদা রহমান (৬৭) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে আজ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহতের ছেলে মশিউর রহমান বলেন, আমার বাবা মজিবুর রহমান দুই বছর আগে মারা যায়। এরপর থেকে আমার মা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। গতকাল রাতে আমরা সাড়ে ১১টার সময় সবাই খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে যাই। পরে দারোয়ান এসে খবর দেয় উপর থেকে কি যেন পড়ছে। দ্রুত আমরা সবাই আমার মায়ের দরজা খোলার চেষ্টা করে কিন্তু দরজা খোলা যায় না। পরে দরজা ভেঙে দেখি রেলিং এর সঙ্গে কাপড় বাধা মা রুমে নেই। পরে নিচে এগিয়ে দেখি আমার মা রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পড়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, আমার মা শাড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে সাততলা থেকে নিচে পড়ে মারা যায়। আমরা বর্তমানে কলাবাগান থানার পান্থপথ গ্রিন রোডের ১৫২/২ বাড়ির জি-২/২ বাসায় থাকি। আমাদের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার সদর থানার রাজপাশা গ্রামে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলম বলেন, রাতে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে হামিদা রহমান নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি নিহতের স্বামী মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। রাতে সাততলা থেকে নিজের রুমের পাশের রেলিং দিয়ে শাড়ি বেয়ে নামার সময় নিচে পড়ে মারা যান।

এসএএ/এমএ