ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু : ‘ব্লক’ রহস্যের খোঁজে পুলিশ
রাজধানীর মৌচাক মার্কেট এলাকায় মাথায় কংক্রিটের ব্লক পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা দীপান্বিতা বিশ্বাস দীপুর মৃত্যুর ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনার এখনো রহস্য খুঁজছে পুলিশ।
নিহত ওই নারী কর্মকর্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সদরঘাট অফিসে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়। তার তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গত বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে মৌচাক মার্কেট এলাকার ফখরুদ্দীন হোটেলের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় উপর থেকে একটি কনক্রিটের ব্লক পড়ে ঘটনাস্থলেই দীপান্বিতার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নিহতের স্বামী তরুণ কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন
নিহতের স্বামী তরুণ বিশ্বাস জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর শান্তিনগর-মৌচাক এলাকা দিয়ে হেটে বাসায় যাচ্ছিলেন দীপান্বিতা। রাতেই রমনা থানা থেকে ফোন দিয়ে তার মৃত্যুর কথা জানানো হয়।
রমনা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় সব সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে পুলিশ। তবে ফুটেজ বিশ্লেষণে এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পায়নি তারা। ব্লকটি ভবনের ওপর থেকে কিভাবে ভুক্তভোগীর মাথায় পড়ল সেই তথ্য খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, কংক্রিটের ব্লকটি সম্ভাব্য তিন জায়গা থেকে ভুক্তভোগীর উপর পড়তে পারে। পুলিশের ধারণা হয়তো কংক্রিটের ব্লকটি কোনো ভবনের ওপর থেকে পড়েছে। যে ভবনের নিচ দিয়ে তিনি হেঁটে যাচ্ছিলেন সেখান থেকে কংক্রিটের ব্লকটি পড়তে পারে। অন্যদিকে এই ভবনের পাশে আরও একটি ভবন রয়েছে সেখান থেকেও পড়তে পারে। নয়তো সেখান থেকে কেউ ছুড়ে মারতে পারে। ফ্লাইওভার থেকেও পড়তে পারে। পুলিশ এই বিষয়গুলো সামনে রেখে তদন্ত করছে।
রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উৎপল বড়ুয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে কংক্রিটের ব্লকটি কোথা থেকে এসেছে এ বিষয়ে এখনো আমরা তথ্য পাইনি। তবে আমরা অনুসন্ধান করে যাচ্ছি। আমাদের অফিসাররা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে আশেপাশে এবং ঘটনাস্থলের সকল সিসিটিভি ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আমরা তদন্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তবে সিসিটিভি ফুটেজে কংক্রিটের ব্লকটি কোথা থেকে এসেছে সেই ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা আশা করি দ্রুতই তদন্ত কাজ শেষ হবে। আর এখন পর্যন্ত এ ঘটনা কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এমএসি/এমএসএ