সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন চট্টগ্রাম-১০ আসনের একটি ভোটকেন্দ্রে মারামারি এবং দুইজনকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটিতে আসনটির সংসদ সদস্য (এমপি) মহিউদ্দিন বাচ্চুর স্ত্রী জিনাত মহিউদ্দিনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন শান্ত বড়ুয়া ওরফে পুনাম বড়ুয়া নামের এক ব্যক্তি। মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, পাহাড়তলি ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণ ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ কাজল, মাহমুদুর রহমান, মো. কামাল ও রাবেয়া মুন্নী মেরি। তারা সবাই এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

পাহাড়তলিতে নৌকা ও ফুলকপি প্রতীকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পিস্তল উচিয়ে শামীম আজাদ (ছবি : সংগৃহীত)

মামলার বাদী নিজেকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলমের সমর্থক বলে উল্লেখ করেন। মামলার অভিযোগে তিনি জানান, ভোটের দিন পাহাড়তলি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে মনজুর আলমের সমর্থকদের চলে যেতে বলে মহিউদ্দিন বাচ্চুর অনুসারীরা। এ সময় বাচ্চুর অনুসারীরা গুলি ছুঁড়লে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এরপর অন্য আসামিরা তাকে মারধর করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী তারিকুল ইসলাম বলেন, ভোটের দিন মারামারি ও গোলাগুলির ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে, একই ঘটনায় আরেক গুলিবিদ্ধ রিকশাচালক জামালের স্ত্রী বাদী হয়ে নগরের খুলশী থানায় আরেকটি মামলা করেন। সেই মামলায় পাহাড়তলি ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী রুমানা চৌধুরীকে আসামি করা হয়। মামলাটিতে ভোটের দিন প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখা যাওয়া শামীম আজাদকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

এমআর/কেএ