জাহিদ ফারুকই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী
আবারও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হলেন জাহিদ ফারুক। এর আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
গতকাল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী কারা হচ্ছেন তাদের নাম জানা গেলেও কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তা জানা যায়নি। আজ বঙ্গভবনে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর বিষয়টি জানানো হয়। জাহিদ ফারুক আজ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি বরিশাল ৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
জাহিদ ফারুকের জন্ম ২৬ নভেম্বর ১৯৫০ সালে বরিশালের নবগ্রাম রোডে। বরিশাল জিলা স্কুলের ছাত্র ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার পিতা খন্দকার মজিবুর রহমান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা আম্বিয়া বেগম ছিলেন গৃহিণী।
আরও পড়ুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গতকাল ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন সংসদ সদস্যরা। শপথ নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন।
সংসদ নেতা হওয়ার পর বুধবার বিকেলে সংসদ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি শেখ হাসিনাকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানান।
এরপর প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভা গঠন করেন এবং বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী গঠিত মন্ত্রিসভায় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরপর মন্ত্রিসভার ওই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বুধবার রাতে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তালিকায় থাকা ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন। ওই তালিকার একটি কপি তিনি সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।
নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গোলযোগের কারণে একটি আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২ আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। বাকি ৬৫ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।
এএসএস/এমএ