দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। তার মধ্যে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ২৯৮টি আসনের ফলাফল বিশ্লেষক করে দেখা গেছে, মাত্র পাঁচটি দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বাকি ২৩টি দলের কোনো প্রার্থী জয়ের দেখা পাননি।

যে দলগুলোর প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, সেগুলো হলো– আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও কল্যাণ পার্টি।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ২৮টি দলের মধ্যে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি আসনে, ইসলামী ঐক্যজোট ৪২টি আসনে, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩০টি আসনে, গণফোরাম ৯টি আসনে, গণফ্রন্ট ২১টি আসনে, জাকের পার্টি ২১টি আসনে, জাতীয় পার্টি ২৬৫টি আসনে, জাতীয় পার্টি-জেপি ১৩টি আসনে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ৬৬টি আসনে, তৃণমূল বিএনপি ১৩৫টি আসনে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ১২২টি আসনে, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১০টি আসনে, আওয়ামী লীগ ২৬৬টি আসনে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি আসনে, বাংলাদেশ কংগ্রেস ৯৬টি আসনে, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৬টি আসনে, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১১টি আসনে, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ৫টি আসনে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ৫৬টি আসনে, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৩৮টি আসনে, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ৫টি আসনে, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট ৪৫টি আসনে, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ৪টি আসনে, সুপ্রিম পার্টি ৭৯টি আসনে, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৬৩টি আসনে, ওয়ার্কার্স পার্টি ২৬টি আসনে, সাম্যবাদী দল ৪টি আসনে ও গণতন্ত্রী পার্টি ১০টি আসনে প্রার্থী দেয়। আর স্বতন্ত্র ৪৩৬ জনসহ নির্বাচনে ১৯৭১ জন প্রার্থী অংশ নেয়।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ২২২ জন, জাতীয় পার্টি লাঙ্গলের ১১ জন, কল্যাণ পার্টির একজন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির একজন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একজন ও স্বতন্ত্র ৬২ জন জয়লাভ করেন। সেই হিসাবে ২৯৮টি আসনের ফলাফলে ২৩টি দলের কোনো প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেননি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি কেন্দ্রে অনিয়ম হওয়ায় ময়মনসিংহ-৩ আসনের ভোটের ফল ঘোষণা স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

এএইচআর/এসএসএইচ