দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। একযোগে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে চলমান এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৫ আসনে কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা আর স্বতন্ত্র ছাড়া অনান্য প্রার্থীর এজেন্টদের দেখা যায়নি।

এই আসনে ১০টি রাজনৈতিক দলের মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর বাইরে দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন, যারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা। নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না) যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মশিউর রহমান মোল্লা ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বাবা এই আসনের চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের কামরুল হাসান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

সকাল ৭টা ৪৩মিনিট থেকে ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দনিয়া কলেজ কেন্দ্রে নৌকা, ট্রাক আর ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া অনান্য প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি। এই কলেজে মোট ৪টি ভোট কেন্দ্র আছে। মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ১৯১ জন।

৭৭ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নাজমুল হায়দার ঢাকা পোস্টকে জানান, নৌকা, ট্রাক এবং ঈগল প্রার্থীর এজেন্টরা আসলেও অনান্য প্রার্থীর এজেন্টরা আসেনি।

সকাল সাড়ে ৮টায় বর্ণমালা স্কুল এন্ড কলেজে একটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. ইসমাইল হোসেন জানান, তার কেন্দ্রেও তিন প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীর এজেন্ট আসেনি।

এছাড়া সকাল ৯টায় এ. কে. স্কুল এন্ড কলেজের কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরেও এ তিন প্রার্থী ছাড়া অনান্য প্রার্থীর এজেন্ট চোখে পড়েনি।

৬৬ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কায়েস খান ঢাকা পোস্টকে জানান, নৌকা, ঈগল আর ট্রাক প্রতীকের এজেন্ট আসলেও অনান্যরা আসেনি। 

তিনি আরও বলেন, এখানে এজেন্টদের আসতে কেউ না বলেনি। তবে শক্তিশালী তিন প্রার্থীর এজেন্টরা তো চলেই এসেছে। যদি একটা প্রার্থীর হতো, তাহলে সেটা কথা ছিল। এখানে চাপ বা বাধা আমরা দেখছি না। যারা আসেনি এটা তাদের দুর্বলতা।

এই আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবু জাফর মো. হাবিব উল্লাহ (চেয়ার), বিএনএফের এস এম লিটন (টেলিভিশন), তৃণমূল বিএনপির আবু হানিফ (সোনালী আঁশ), ইসলামী ঐক্যজোটের আব্দুল কাইয়ূম (মিনার), এনপিপির আরিফুর রহমান (আম), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের নূরুল আমিন (ছড়ি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোশারফ হোসেন মিয়া (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের সাইফুল আলম (ডাব), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সারোয়ার খান (কাঁঠাল)।

রাজধানীর প্রবেশমুখ বলে পরিচিত যাত্রাবাড়ি, ডেমরা ও কদমতলী থানার একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-৫ আসন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়ে গঠিত এই আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৮৭ টি। এসব কেন্দ্রে রয়েছে এক হাজার ৮৯টি ভোট কক্ষ।

এই আসনে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫১ হাজার ৫১৭ জন। আর নারী ভোটার দুই লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার রয়েছেন তিন জন। সব মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৯০ হাজার ৭৬৪ জন।

এসএইচআর/টিএম