ঢাকা-৫ আসনে দনিয়া কলেজে ৪টি ভোট কেন্দ্র। মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ১৯১ জন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সকাল ৮টা ১৫ মিনিট) এ কেন্দ্রে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।

৭৭ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নাজমুল হায়দার ঢাকা পোস্টকে জানান, সকাল ৮টা ১০ মিনিট পর্যন্ত কোনো ভোট পড়েনি। 

তিনি আরও জানান, এজেন্টরা দেরি করে আসছেন। নৌকা, ট্রাক এবং ঈগল প্রার্থীর এজেন্টরা এলেও অন্যান্য প্রার্থীর এজেন্টরা আসেনি।

রাজধানীর প্রবেশমুখ খ্যাত যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও কদমতলী থানার একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-৫ আসন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই আসনের ভোটার সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়ে গঠিত এই আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৮৭টি। রয়েছে এক হাজার ৮৯টি ভোট কক্ষ।

এই আসনে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫১ হাজার ৫১৭ জন। আর নারী ভোটার দুই লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিনজন। সব মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা মোট চার লাখ ৯০ হাজার ৭৬৪ জন।

এই আসনে ১০টি রাজনৈতিক দলের মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর বাইরে দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন, যারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা। নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না) যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বাবা এই আসনের চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। 

এই আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন— ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবু জাফর মো. হাবিব উল্লাহ (চেয়ার), বিএনএফের এস এম লিটন (টেলিভিশন), তৃণমূল বিএনপির আবু হানিফ (সোনালী আঁশ), ইসলামী ঐক্যজোটের আব্দুল কাইয়ূম (মিনার), এনপিপির আরিফুর রহমান (আম), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের নূরুল আমিন (ছড়ি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোশারফ হোসেন মিয়া (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের সাইফুল আলম (ডাব), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সারোয়ার খান (কাঁঠাল)।

এসএইচআর/এমএ