দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। এমন একটি জাতীয় নির্বাচনের ভোটের দিন সকালে রাজধানীতে গণপরিবহনশূন্য দেখা গেছে। ফলে নাগরিকদের হেঁটে বা রিকশায় চড়ে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। যদিও ভোটের দিনকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি সমমনা দল ভোট বর্জন করে আজ গণকারফিউর পালন করছে।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মগবাজার, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, শাহবাগ, কাকরাইল ও শান্তিনগর ঘুরে সড়কে বাস না থাকার বিষয়টি চোখে পড়ে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ নির্বাচন উপলক্ষে ট্যাক্সি ক্যাব, পিক আপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবে নগরবাসীর ভোট কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য বাস চলাচল বন্ধের কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। কিন্তু, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি জানিয়েছে নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৯০ শতাংশ বাস পুলিশ রিকুইজিশন করে নিয়েছে।

রাজধানীর সড়ক ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় শুধু যানবাহন বলতে রিকশা রয়েছে। অনেকেই পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন। কেউ কেউ যানবাহনে হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করছেন। দুই একটি সিএনজিও চোখে পড়েছে। কারওয়ান বাজার মোড়ে শুধুমাত্র একটি বাস দেখা গেছে। রাস্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলতে শুধুমাত্র পুলিশের কয়েকটি গাড়ি দেখা গেছে।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ ঢাকা পোস্টকে বলেছেন, আমাদের গাড়ি তো চলবেই। তবে গাড়ি তো সব রিকুইজিশন করে ফেলেছে। তারপরও যা আছে সেগুলো চলবে।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক সামদানী খন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেছেন, ঢাকা সিটিতে চলাচলকারী ৯০ শতাংশ বাস নির্বাচন উপলক্ষ্যে রিকুইজিশন করে ফেলেছে। অনেক মালিক রিকুইজিশনের ভয়ে বাস বের করছে না। অবশিষ্ট বাস গণকারফিউয়ের মধ্যে চলাচল করবে। আন্তঃজেলা বাসও চলাচল করবে।

/এমএইচএন/আরএইচটি/এমএ