দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করায় সারাদেশের বিভিন্ন আসনের এমপি প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশে জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেটের আদালতে ও থানায় নিয়মিত অভিযোগ দায়েরের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

নির্বাচন কমিশনের আদেশক্রমে ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) মো. আব্দুছ সালাম সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে এসব নির্দেশনা দেন।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ :

১. নওগাঁ ৪ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নাহিদ মোর্শেদ।

২. নোয়াখালী ২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোরশেদ আলমের কর্মী-সমর্থক আরমান হোসেন (রকি) এবং ফখরদ্দিন মাজু।

৩. রাজশাহী ৪ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ।

৪. নেত্রকোনা ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা।

৫. ঠাকুরগাঁও ২ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. মৃদুল চৌধুরী।

৬. নোয়াখালী ২ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক গিয়াস উদ্দিন, আবদুল হক ও জাহাঙ্গীর।

৭. ময়মনসিংহ ১১ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক মতিউল ইসলাম, নুরু, জাকির এবং আকাশ।

৮. ঠাকুরগাঁও ২ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্ৰাৰ্থী মো.  মাজহারুল ইসলাম।

৯. কুমিল্লা ২ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী
লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিমা আহমাদের কর্মী-সমর্থক শিপন সরকার, আব্দুল আওয়াল, নয়নগাজী এবং বুলবুল।

১০. লক্ষ্মীপুর ৩ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর এজেন্ট আবুল কাশেম চৌধুরী।

১১. সুনামগঞ্জ ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ নুরে আলম নুরু, আবুল কাশেম, হাসেম, মোজাহিদ এবং তোফায়েল।

১২. পঞ্চগড় ১ আসনের স্থানীয় অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু।

১৩. লালমনিরহাট ১ আসনের আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল, মো. ফেরদৌস হোসেন, মো. মিজানুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, হাসান আলী, আসাদ হোসেন, নুরুন্নবী, রবিউল ইসলাম খান, শফিক হোসেন, শাহেদুল ইসলাম, এসকে, শহিদুল ইসলাম, ওমেদ আলী, রাজন মিয়া, রাশেদুল ইসলাম রানা, রুবেল, ইলিজা বেগম, রেনুকা বেগম রেনু, নুরুনব্বী এবং এরশাদ।

১৪.  ময়মনসিংহ ৯ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেন টুটন।

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অ-আমলযোগ্য ও আমলযোগ্য অপরাধ বিবেচনা করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত এবং থানায় মামলা দায়ের করা হবে।

আরএইচটি/এমএসএ