রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনামতে, আগুনে বেশ কয়েকজন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকায় নেভানো যায়নি আগুন। শুধু তাদের চেয়ে চেয়ে দেখতে হয়েছে। এমন কি আগুন লাগার প্রায় এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস এসেছে বলে অভিযোগ তাদের।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী দগ্ধ হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক হোসেন বলেন, আমরা এলাকাবাসী, যখন আগুন লেগেছে দৌড়ে এসেছি। যার কাছে যতটুকু পানি ছিল আমরা সেভাবে চেষ্টা করেছি, কিছুই করতে পারিনি।

তিনি বলেন, অনেক মানুষ আমার চোখের সামনে মারা গেছে। এলাকাবাসী সবাই মিলে অনেক চেষ্টা করছি, কিন্তু তাদেরকে উদ্ধার করতে পারিনি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নেই।

প্রত্যক্ষদর্শী এই ব্যক্তি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার ১ ঘণ্টা পরে আসছে। আগে আসলে হয়ত আরো কিছু মানুষের প্রাণ বাঁচানো যেত। এত বড় আগুন, আমাদের কিছুই করার ছিল না।

স্থানীয় আরেক এলাকাবাসী বলেন, ট্রেনটি চলতি অবস্থাতেই আগুন লেগে এখানে আসে। ট্রেনটি দাঁড়ানোর সাথে সাথেই স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে। পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলো থেকে যে যেভাবে পেরেছে পানি দিয়ে সহযোগিতা করেছে।

তিনি আরও বলেন, ভিতর একজন লোক পুড়ে মরে আছে দেখছেন, তিনি অনেক রিকোয়েস্ট করছেন আমারে বাঁচাও, আমারে বাঁচাও। উনার বউ-বাচ্চাও ট্রেনে ছিলো। কিন্তু আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুই করতে পারিনি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, ট্রেনে আগুনের ঘটনায় ৭টি ইউনিট কাজ করছে ঘটনাস্থলে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ভেতরে যাত্রী আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি তথ্য নেই আমাদের কাছে।

টিআই/পিএইচ