দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়া প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি সমমনা দল আগামীকাল ৬ জানুয়ারি হরতাল ও ৭ জানুয়ারি গণকারফিউর ডাক দিয়েছে। তবে এসব কর্মসূচি উপেক্ষা করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বাস চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। 

তবে ঢাকা সিটিতে চলাচল করা বাসগুলোর মধ্যে ৯০ শতাংশ বাস রিকুইজিশনে আছে বলেও জানা গেছে। এর ফলে ঢাকা সিটিতে আগামীকাল থেকে গণপরিবহন সংকট দেখা দিতে পারে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বাস চলাচলের তথ্য জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলোর ডাকা হরতাল-গণকারফিউয়ের মধ্যে বাস চলাচলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা— জানতে চাইলে খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, আমাদের গাড়ি তো চলবেই। তবে গাড়ি তো সব রিকুইজিশন করে ফেলেছে। তারপরও যা আছে সেগুলো চলবে।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক সামদানী খন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা সিটিতে চলাচলকারী ৯০ শতাংশ বাস নির্বাচন উপলক্ষে রিকুইজিশন করে ফেলেছে। এখনও রিকুইজিশন চলছে। অনেক মালিক রিকুইজিশনের ভয়ে বাস বের করছে না। অবশিষ্ট বাস হরতাল-গণকারফিউয়ের মধ্যে চলাচল করবে। আন্তঃজেলা বাসও চলাচল করবে।

রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী রাকিবুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকায় চলাচল করা ৯০ শতাংশ বাস যদি রিকুইজিশন করে ফেলে তাহলে রাজধানীতে ভয়াবহ গণপরিবহন সংকট হবে। আবার একইসঙ্গে ভোট দিতে অনেক মানুষ ঢাকার বাইরে গিয়েছেন। সে হিসেবে মানুষের চাপটা একটু কমও হতে পারে। যদি ৮ তারিখ পর্যন্ত রিকুইজিশন থাকে তাহলে নগরবাসীকে অনেকটা ভোগাবে। কারণ শহর ২৪ ঘণ্টা জেগে থাকে, কাজে থাকে।

রিকুইজিশনে থাকা আজিমপুর-গাজীপুর রুটে চলাচল করা ভিআইপি-২৭ পরিবহন বাসের চালক মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল (৪ জানুয়ারি) বিকাল থেকে আমাদের বাস রিকুইজিশনে নিয়েছে। আমরা আজকে সারাদিন ডিউটি করেছি। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রিকুইজিশনে থাকবো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে ৬ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ৮ জানুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত (৪৮ ঘণ্টা) দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এছাড়া ৬ জানুয়ারি সারাদেশে হরতাল ও ৭ তারিখ ভোটগ্রহণের দিন সারাদেশে গণকারফিউ পালনের জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূর। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) পল্টনের আল-রাজি কমপ্লেক্সের সামনে এক সমাবেশ থেকে তিনি এ আহ্বান জানান। 

এমএইচএন/এমএসএ