গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’, যা জানাল ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে ভোটগ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার কর্মকর্তারা ওই আসনে ভোটগ্রহণ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
কিন্তু রাতে নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ অধিশাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
বিজ্ঞাপন
ওই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ভোটারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন’ শিরোনামে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের স্ক্রলে এবং প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার অনলাইন ভার্সনে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। এ তথ্যটি অসত্য ও ভিত্তিহীন। এ তথ্যে সংশ্লিষ্ট আসনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ভোটারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সর্বসাধারণকে আহ্বান জানাচ্ছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এবার গাইবান্ধা-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ফারজানা রাব্বী বুবলী (ট্রাক), শামসুল আজাদ শীতল (ঈগল পাখি), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) এবং এনপিপির ফারুক মিয়া (আম)।
আরও পড়ুন
ভোটের চার দিন আগে গত ৩ জানুয়ারি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এ আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার। সরকারের একতরফা নির্বাচন, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৈধ স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক মৃত্যুবরণ করায় নওগাঁ-২ আসনের সাধারণ নির্বাচন বাতিল করে ইসি। গত ২৯ ডিসেম্বর এ তথ্য নিশ্চিত করেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। পরবর্তীতে এ আসনে নির্বাচন হবে বলে জানান তিনি।
এসআর/এসএসএইচ