বুধবার (৩ জানুয়ারি) ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন হুসনে আরা (২৯)।

অবতরণের পর তিনি তার পরিবারের ব্যাপারে বা নিজের বাসস্থানের ঠিকানার ব্যাপারে কিছুই বলতে পারছিলেন না। অবশেষে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন তার পরিবারকে খুঁজে বের করে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ব্র্যাকের সহযোগিতায় হুসনে আরাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।

তিনি জানান, গত বছরের ১৭ এপ্রিল সৌদি আরবে গৃহর্মীর কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করেন হুসনে আরা। সেখানে এক বছরের বেশি সময় কাজ করার পর গতকাল সকালে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় তিনি ঢাকায় অবতরণ করেন। এ সময় তিনি বিমানবন্দরে এলোমেলো ঘোরাফেরা করছিলেন। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের নারী সদস্যরা তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। তাকে এয়ারপোর্ট এপিবিএন অফিসে নিয়ে এসে তার কাছে তার পরিবারের ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলতে পারছিলেন না। মানসিক ভাবে অসুস্থ থাকায় এসময় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রজেক্টের সহযোগিতা নেয় এয়ারপোর্ট এপিবিএন, পাশাপাশি হুসনে আরার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করতে থাকে। পরিবারের সদস্যদের ট্রেস করার চেষ্টায় একসময় হুসনে আরার গ্রামের বাড়ির ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে খুঁজে বের করা হয়। তার সাথে কথা বলে তার পরিবারের ঠিকানা ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাদের সংবাদ দেওয়া হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হুসনে আরার দেশে ফেরার বিষয়ে তারা কিছুই জানতেন না। তার দেশে ফিরে আসার ব্যাপারেও তাদের কিছু জানানো হয়নি। এবিপিনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ সকালে সুনামগঞ্জ থেকে তার মামা ঢাকায় আসেন।   

হুসনে আরার মামা সৈয়দ মাহমুদ জানান, তার ভাগ্নি সুনামগঞ্জের বাসিন্দা এবং মো. জয়নালের স্ত্রী। গতবছর এপ্রিল মাসে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু গত ২ মাস ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তার পরিবারের। গতকাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন। তাদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে, হুসনে আরার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে আজ সকালে তারা ঢাকায় আসেন এবং ব্র্যাকের লার্নিং সেন্টারে এপিবিএন এবং ব্র্যাকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে হুসনে আরাকে বুঝে নেন।

এমএসি/এসকেডি