ভোটের মাঠে বাড়ল প্রার্থী, লড়াইয়ে আছেন ১৯৭০ জন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের পর নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সারাদেশে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ১৮৯৬ জন। এরপর মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে হাইকোর্টে আপিল করেন। তাদের মধ্যে আজ (বুধবার) পর্যন্ত ৭৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ফলে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেন মোট ১৯৭০ জন।
জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্রসহ অনেক প্রার্থী সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও সেটি অনানুষ্ঠানিক। নির্বাচন কমিশনের হিসাবে তাদের প্রার্থিতা থেকে যাবে এবং তাদের নামে ব্যালট পেপারও ছাপানো হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত প্রার্থীদের হালনাগাদ তালিকা থেকে সারা দেশে মোট প্রার্থীর সংখ্যা জানা গেছে। সেই তালিকায় দেখানো হয়েছে, হাইকোর্টের আদেশে ৭৬ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এছাড়া ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা হাইকোর্ট বাতিল করেছেন।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াদের মধ্যে স্বতন্ত্র ৫৫ জন, গণতন্ত্রী পার্টি ১০ জন, আওয়ামী লীগের ৩ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ২ জন, তৃণমূল বিএনপির ২ জন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১ জন এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের একজন প্রার্থী রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। হাইকোর্ট থেকে ৩ জন প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর দলটির মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৬ জনে। এরপরই রয়েছে জাতীয় পার্টির ২৬৫ জন। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির রয়েছে ১৩৫ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রয়েছে ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬ জন, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী আন্দোলনের ৫৬ জনসহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের মোট প্রার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৫৩৪ জন। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ৪৩৬ জন।
আরও পড়ুন
যেসব রাজনৈতিক দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে
ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণ ফোরাম, গণফ্রন্ট, জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), তৃণমূল বিএনপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল), গণতন্ত্রী পার্টি।
এসআর/এসকেডি