প্রায় ১৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী মুসরীন আক্তারের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১ জানুয়ারি) ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম মামলায় আসামি সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত ১১ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ১৯৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবরে তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়। 

অনুসন্ধানকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় ১৯৯৬-৯৭ হতে ২০২১-২২ করবর্ষ পর্যন্ত স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে প্রথম পর্যায়ে ২২ কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার ৫১১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। যার সঙ্গে অপরিশোধিত দায় ৭ কোটি ১৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা বাদ দিলে নিট সম্পদ পাওয়া যায় ১৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪৪ হাজার ৪৫০ টাকা। এর সঙ্গে ওই সময়ের পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়বাবদ ১৬ কোটি ২০ লাখ ৫৮ হাজার ১৮৬ যোগ করলে ৩১ কোটি ৯৫ লাখ ২ হাজার ৬৩৬ টাকার সম্পদের হিসাব পাওয়া যায়। এর মধ্যে যাবতীয় রেকর্ডপত্র বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২০ কোটি ৪০ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪১ টাকা। অর্থাৎ ১১ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ১৯৫ টাকা অবৈধ সম্পদ হিসাবে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। 

এছাড়া সিদ্দিুকর রহমানের নামে “শ্রাবণী কনস্ট্রাকশন, আলাউদ্দিন কোম্পানি লিমিটেড এবং “আলাউদ্দিন ব্রিকস নামে ইট ব্যবসায় বিনিয়োগ করা ২৫ কোটি টাকার অথরাইজড শেয়ার রয়েছে। যে বিষয়ে সিদ্দিকুর রহমান সদুত্তর দিতে পারেনি। যার চূড়ান্ত হিসাব শেষ না হওয়ায় মামলায় এ বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়নি। তদন্তকালে বিশেষজ্ঞের মতামতসহ আমলে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী মুসরীন আক্তারকে। এ মামলা স্বামীকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে সিদ্দিকুর রহমানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় স্ত্রীর নামে অবৈধভাবে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৪১ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৪ এর ২৭(১) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরএম/এসএম