‘বাবা তোমারে দেখার জন্য এখানে আসছি। কত শুনছি তোমার কথা। আজকে সামনাসামনি দেখলাম। তোমারে দেখার জন্য সেই সকাল থেকে অপেক্ষা করছি।’— স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলামকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে কান্না জড়িত কন্ঠে এভাবেই বলছিলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা হিঞ্জি বিবি। 

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তাজুল ইসলামের নিজ এলাকায় (কুমিল্লা-৯) আসনের নির্বাচনী প্রচারণার সময় লাকসামের গোবিন্দপুর ইউনিয়নে এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়। এসময় মন্ত্রী নিজেও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বৃদ্ধা হিঞ্জি বিবি। বলেন, ওনি আমার এলাকার মানুষ। দেখা করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আমার সঙ্গে কথা বলেছে। আমাদের বিভিন্ন সময় সাহায্য সহযোগিতা করে।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমি এই এলাকায় পাঁচবারের সংসদ সদস্য। এবার ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। এখানকার মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আত্মিক। দীর্ঘ দিন তাদের সুখ-দুঃখে সবসময় আমি পাশে রয়েছি। এই এলাকার ৯৮ শতাংশ উন্নয়নমূলক কাজ আমার হাত ধরে হয়েছে। মানুষজন আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমরা উঠান বৈঠকগুলোর কোনো প্রচার-প্রচারণা করছি না। তারপরও যারা শুনছে আমি আসবো তখনই চলে আসছে।

নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে আরও বেশি মনোযোগী হবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি স্থানীয়সরকার মন্ত্রী হিসেবে সারা দেশের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের দিকেই নজর রাখি। তবে সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকাবাসীর প্রতিও আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। সেটি আরো বাড়াবো।

প্রসঙ্গত, তাজুল ইসলাম এ আসনে টানা চারবারসহ মোট পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাজুল ইসলাম ছাড়া কুমিল্লা-৯ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট পাঁচ জন দলীয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন—জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. গোলাম মোস্তফা কামাল, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো. আবু বকর ছিদ্দিক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী মনিরুল আনোয়ার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জমির উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।

আরএইচটি/এমএসএ