সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ‘লেটস টক’ সিরিজের ৫৩তম পর্বে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ৩০০ জন তরুণের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন তিনি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এশিয়ার সেরা ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পাওয়া তরুণ বিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা, যার প্রশংসা করেছেন প্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও।

সেঁজুতি সাহা জানান, প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি এ সাক্ষাৎ সারাজীবন লালন করবেন।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিআরআই’র অনুষ্ঠানটির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে ড. সেঁজুতি বলেন, একটি অসাধারণ অনুভূতি ছিল। আমি একজন বিজ্ঞানী। আমি ল্যাবে বেশির ভাগ সময় কাটাই। আমাকে যখন এমন একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতে বলা হয়েছিল, আমি অবশ্যই খুব নার্ভাস ছিলাম। আমি নার্ভাস ছিলাম, কারণ প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবার রোল মডেল।

তিনি বলেন, কিন্তু যখন তিনি অনুষ্ঠানস্থলে এসে আমাকে দেখে হাসলেন, আমার সব নার্ভাসনেস চলে গেল। মনে হলো, আমরা মাত্র দেড় ঘণ্টার জন্য আড্ডা দিতে যাচ্ছি। আমরা এ প্রজন্মের প্রশ্ন নিতে যাচ্ছি এবং তাদের মতামত শুনতে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, এটি আমাদের প্রজন্মের জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল। সারাবিশ্বে খুব কম যুবক-যুবতী এমন একজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এত দীর্ঘসময় সরাসরি কথা বলার সুযোগ পান। আমি সত্যিই এটির প্রশংসা করেছি এবং এ দিনটি কখনোই ভুলব না।

তরুণ এই বিজ্ঞানী বলেন, সেশনে অংশ নেওয়া তরুণ সংগঠক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আসা প্রশ্ন নিয়ে আমরা প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা কথা বলেছিলাম। সেখানে তরুণ ফুটবলার, ক্রিকেটার, বক্সার, সমাজ পরিবর্তনে প্রভাব রাখা সংগঠক এবং বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন। আমরা তাদের অনেকের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়েছি। কিন্তু যা বারবার আমার কাছে অনুরণিত করেছে এবং প্রধানমন্ত্রীও যে বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছিলেন, তা হলো আমাদের নিজেদেরকে নিজেদের মতো করে পরিচালিত করতে হবে। আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। এ প্রজন্ম অন্যের ওপর নির্ভর করতে পারে না। আমাদের নিজেদের কাজে বিশ্বাস রাখতে হবে, দেশের জন্য কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের অভিভাবকদের কথাও শুনতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, এটি আমার জন্য ও আমাদের সবার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ছিল।

ড. সেঁজুতি সাহা বলেন, আমরা সবাই খুব অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমরা গান শুনেছি, কথা বলেছি, হাততালি দিয়েছি। আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের আন্তরিক প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়েছি। এটা আলাদা ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল।

এসএসএইচ