রাজধানীর আফতাবনগর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে পাওনা টাকা চাওয়ায় মোশারফ হোসেন (৪৮) নামে এক  নিরাপত্তা কর্মীকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে, ফজলুল হক নামে এক ফ্ল্যাট মালিকের বিরুদ্ধে। 

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালের দিকে আহত অবস্থায় মোশারফ হোসেনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

আহত মোশারফ হোসেনের স্বজন মো. বিল্লাল হোসেন জানান, ওই বাড়িটির নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে এক বছর ধরে কাজ করছেন মোশারফ। বাড়ির মালিকের কাছে কয়েক মাসের বেতন বকেয়া ছিল তার। সেই বেতনের টাকা চাইতে রোববার রাতে ফ্ল্যাট মালিক ফজলুল হকের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে যান মোশারফ। কলিং বেল চাপতেই ক্ষিপ্ত হন ফজলুল হক। সেখানে ফজলুল হকের সঙ্গে মোশারফের কথা কাটাকাটি হয়।

মোশারফ হোসেনের স্বজন আরও জানান, সোমবার সকালে ফজলুল হক ও তার এক ভাতিজা রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিচে গেটের সামনে আসেন। ফজলুল হকের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোশারফের মাথায় আঘাত করেন। আর তার ভাতিজা রড দিয়ে মোশারফের পায়ে এবং হাতে পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর রক্তাক্ত আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং মাথায় আট থেকে দশটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফ্লাট মালিক ফজলুল হকের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোশারফের অভিযোগ সবই মিথ্যা। সে আমাকে রোববার রাতে গেটে তালা দিয়ে রেখেছিল। আজ সকালেও আমি যখন বের হতে যাই তখনও গেটে তালা ঝুলছিল। আমি বললেও বের হতে দেয়নি। এক পর্যায়ে সে মাছ কাটার দা নিয়ে আসে। তখন ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গেলে গেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পায়। 

তবে গেটে কেন তালা দিয়েছে, কেন তাকে বের হতে দেয়নি সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কল কেটে দেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, রক্তাক্ত জখম ওই ব্যক্তিকে  ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বাড্ডা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

এসএএ/এমএসএ