আমন সংগ্রহ সফলে জটিলতা হলে মিলাররা দায়ী থাকবে : খাদ্য অধিদপ্তর
চলতি আমন সংগ্রহ কার্যক্রমে বিনা কারণে কালক্ষেপণ করে সংগ্রহ সফল করার ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট মিলার ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর তার দায় বর্তাবে বলে সতর্ক করেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর থেকে সম্প্রতি দেশের সব আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, চলতি অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ, ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম গত ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে, যা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। চলতি চাল সংগ্রহ মৌসুমে সিদ্ধ চালের লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫০ লাখ মে. টন এবং আতপ চালের লক্ষ্যমাত্রা ১.৫০ লাখ মে. টন নির্ধারিত রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমে চালকল মালিকদের সাথে চুক্তি সম্পাদনের সর্বশেষ তারিখ ছিল ৭ ডিসেম্বর। চুক্তির নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে চুক্তি হওয়া সিদ্ধ চালের পরিমাণ ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮৯ মে.টন, যা মোট ছাঁটাই ক্ষমতার মাত্র ২২.০৯ শতাংশ।
গত ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে সর্বমোট ১ লাখ ৮১ হাজার ২৩১ মে. টন সিদ্ধ চাল ও ৩ হাজার ৫১৩ মে.টন আতপ চাল সংগৃহীত হয়েছে জানিয়ে এতে বলা হয়, সরবরাহ করা সিদ্ধ চালের পরিমাণ চুক্তি পরিমাণের ৪০ শতাংশেরও কম। অথচ পাক্ষিক ছাঁটাইক্ষমতা অনুযায়ী চুক্তি করা চাল ১০ দিনের মধ্যে গুদামে সরবরাহ করা সম্ভব ছিল।
‘এমতাবস্থায় অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ, ২০২২ এর ৭ নং অনুচ্ছেদের শর্ত মোতাবেক এবং সংগ্রহের অন্যান্য নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চুক্তিবদ্ধ মিলারদেরকে ব্যাখ্যা তলব ও মিল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, দ্রুততম সময়ে চাল সরবরাহ না করে বিনা কারণে কালক্ষেপণ করে পরে চালের বাজার দর বৃদ্ধি পেয়ে সংগ্রহ সফল করার ক্ষেত্রে কোন জটিলতা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট মিলার ও মাঠপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর তার দায় বর্তাবে এবং চুক্তিবদ্ধ মিলারের বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত, সংগ্রহ বিষয়ক বিভিন্ন নির্দেশনা এবং অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসএইচআর/এমএ