কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে জাতিসংঘের আপত্তি ছিল। সম্প্রতি ভাসানচর ঘুরে এসে ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। কিছু সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি ভাসানচর ঘুরে আসা জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের দেওয়া সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। তবে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে।

গত ১৭ মার্চ তিনদিনের সফরে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের দেখতে যান জাতিসংঘের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। ওই সফরে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার কাজে যুক্ত সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ভাসানচরে সেটিই জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলের প্রথম সফর ছিল।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় জাতিসংঘ। তারই ধারাবাহিকতায় ভাসানচর পরিদর্শন করেছে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল।’

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের প্রথম দেখতে যায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) একটি প্রতিনিধিদল। সর্বশেষ চলতি মাসের শুরুর দিকে ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের দেখতে যান ঢাকায় নিযুক্ত ১০ বিদেশি রাষ্ট্রদূত। সফর শেষে তারা ইতিবাচক প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে জানা যায়।

কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে অধিকতর নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয় করে ভাসানচর প্রস্তুত করে বাংলাদেশ সরকার। বছর দুয়েক আগেও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা সম্ভব ছিল না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে। 

তবে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে জাতিসংঘের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার। এ পর্যন্ত ছয় দফায় ১৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে।

এনআই/ওএফ