প্রেমিকার অভিযোগে সন্ধ্যায় পরিবারসহ থানায়, রাতে মিলল ঝুলন্ত মরদেহ
চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানা এলাকায় মিনহাজুল ইসলাম রাফি নামে এক কলেজছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে থানার লালখানবাজার টাঙ্কির পাহাড় এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মিনহাজুল ইসলাম নগরের একটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাবার নাম মো. নোমান।
বিজ্ঞাপন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলেজছাত্র মিনহাজুলের সঙ্গে এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। একপর্যায়ে তরুণী মিনহাজুলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়— মিনহাজুলের মোবাইলে ওই তরুণীর কিছু আপত্তিকর ছবি রয়েছে। যেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন
তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলেজছাত্রকে থানায় ডাকান পুলিশ পরিদর্শক আরমান হোসেন। বুধবার সন্ধ্যায় বাবা-মার সঙ্গে কোতোয়ালি থানায় যান মিনহাজুল। এ সময় ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেন পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর রাতে নিজ বাসা থেকে ওই কলেজছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মিনহাজুলের মা রানু বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আরমান মোবাইল কেড়ে নেন। এরপর তিনি দুই লাখ টাকা দাবি করেন। না দিলে মিনহাজুলকে আদালতে চালান করে দেবেন বলে হুমকি দেন। আমরা গরীব মানুষ। মিনহাজের বাবাসহ ওই পুলিশের পা ধরে মাফ চেয়ে শেষে ৫ হাজার টাকা দিই। উনি টাকাগুলো তার কক্ষের বাথরুমে রেখে আসতে বলেন। সেখানে টাকা রেখে আসার পর আমাদের ছেড়ে দেন। বাকি টাকা ২৪ তারিখের মধ্যে দিতে বলেন।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক আরমান হোসেন বলেন, ‘গত ৯ ডিসেম্বর এক তরুণীর জিডির সূত্র ধরে মিনহাজুলকে ডাকা হয়েছিল। সঙ্গে তার মা-বাবাও এসেছিল। আগে থেকে তার বাবা-মায়ের ধারণা ছিল— তাদের ছেলে কিছু জানে না, ভদ্র। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে মিনহাজুল দোষ স্বীকার করেছে। একই সঙ্গে তার মোবাইলে অভিযোগকারী তরুণীর আপত্তিকর ছবি পেয়েছি। কিছু ছবি ডিলিট করিয়েছি।’
তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এমআর/এমজে