সাড়ে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দুদকের অনুসন্ধানে রওশন আক্তারের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৯২ হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা মূলত তার স্বামীর অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। সম্পদের মধ্যে রয়েছে ব্যাংক স্থিতি, প্রাইজবন্ড, নগদ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, মোবাইল ফোন এবং শেয়ার। মামলায় তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রায় ২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলোচিত গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। এছাড়াও মনিরের নামে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ২৩টি প্লটের সন্ধান মিলেছে বলে জানা গেছে। যার তদন্ত চলমান রয়েছে।

২০২০ সালে গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নামে দুদক। অনুসন্ধানের স্বার্থে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর গোল্ডেন মনির ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের নামে/বেনামে থাকা সম্পদের হিসাব দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। এরপর মনির ২০২১ সালের ২ মার্চ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। আর তার স্ত্রী রওশন আক্তার ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি বাড্ডার ডিআইটি প্রকল্পের প্লটসহ বিভিন্ন জমি আত্মসাতের চেষ্টা ও নথি গায়েবের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গোল্ডেন মনিরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করে দুদক।

ওই মামলার বাকি আসামিরা হলেন, রাজউকের উপ-পরিচালক মো. দিদারুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন শরীফ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আনোয়ার হোসেন, ঊর্ধ্বতন হিসাব সহকারী এস এম তৌহিদুল ইসলাম, কার্য তদারককারী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন সরকার ও রাজউক অফিস সহায়ক মো. পারভেজ চৌধুরী, জমির দালাল সিরাজগঞ্জের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও নারায়ণগঞ্জের মো. নাসির উদ্দিন খান।

আরএম/এসকেডি