ছবি সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কৃষকের জন্য দেয়া পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এই ঋণ বিতরণ করতে পরবে ব্যাংকগুলো। ১৮ মাস (৬ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ) মেয়াদী এ ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার চার শতাংশ।

কৃষি খাতে করোনার ধাক্কা সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কৃষি খাতে বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’ নামে গত ১২ এপ্রিল এ বিশেষ প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করেন। এরপরই কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের উদ্দেশে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন ও পরিচালনার নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি খাতের বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিমটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংক থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণের সময়সীমা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। এতদিন বিশেষ এ তহবিলের ঋণ বিতরণের সময়সীমা ছিল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ঋণের মেয়াদ

ব্যাংকগুলো পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক ১৮ মাসের (১২ মাসের সঙ্গে গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাস) মধ্যে আসল এবং সুদ (বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্ধারিত এক শতাংশ সুদ হারে) পরিশোধ করবে। আর ব্যাংকগুলো গ্রাহক পর্যায়েও ঋণের সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ঋণগ্রহণের তারিখ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত।

ঋণের সুদের হার

এ স্কিমের আওতায় ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্ধারিত এক শতাংশ সুদহারে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে। গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ চার শতাংশ। এই সুদহার চলমান গ্রাহক এবং নতুন গ্রাহক উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

ঋণ বিতরণের খাত

এ ঋণের আওতায় রয়েছে শস্য ও ফসল খাত ব্যতীত কৃষির অন্যান্য চলতি মূলধন নির্ভরশীল খাতসমূহ (হর্টিকালচার অর্থাৎ মৌসুম ভিত্তিক ফুল ও ফল চাষ, মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি, ডেইরি ও প্রানিসম্পদ খাত)। তবে কোনো একক খাতে বরাদ্দকৃত ঋণের ৩০ শতাংশের বেশি বিতরণ করতে পারবে না।

এছাড়াও, যেসব উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান কৃষকের কাছ থেকে উৎপাদিত কৃষিপণ্য ক্রয় করে সরাসরি বিক্রয় করে থাকে তাদেরকেও এ স্কিমের আওতায় ঋণ বিতরণের জন্য বিবেচনা করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোনো উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারবে না।

এই স্কিমের আওতায় বিতরণকৃত ঋণের অর্থ এর কোন অংশের সদ্ব্যবহার হয়নি জানতে পারলে বাংলাদেশ ব্যাংক সমপরিমাণ অর্থের ওপর নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত ২ শতাংশ সুদসহ এককালীন জরিমানা করবে।

এসআই/এফআর