রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সকালের (মঙ্গলবার) রেল দুর্ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রেলভবনে ‘সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক কারণে ট্রেনে নাশকতা সৃষ্টি’ বিষয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত না করে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।

সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, যাত্রী হয়ে ট্রেনে উঠলে নিরাপদ করা তো রেলের পক্ষে সম্ভব না। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-১৪ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাসের বদলে ট্রেনকে এখন প্রধান হাতিয়ার করা হচ্ছে। পরিকল্পিত দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।

কোনো দল রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতে পারে কিন্তু সহিংসতা করতে পারে না বলে মন্তব্য করেন নূরুল ইসলাম সুজন।

তিনি বলেন, কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি করার নামে খুলে নেওয়া হয়েছে, যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। তারা মনে করছে এ ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা করা সম্ভব। যদিও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে কিন্তু তারা কর্মসূচি না দিলে তো এটা হতো না।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে একটি শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ। তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় মিলেছে।

পরিচয় পাওয়া দুজন হলেন– নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) এবং তার তিন বছরের শিশু সন্তান ইয়াসিন। বাকি দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।

এমএম/এসএসএইচ