দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি কোনো নির্বাচনী এলাকার ফলাফল একত্র করার পর দেখা যায় দুই বা ততোধিক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা সমান হয়, সেক্ষেত্রে বিজয়ী নির্বাচন করতে লটারি করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।

নির্দেশনায় বলা হয়, যদি কোনো নির্বাচনী এলাকার ফলাফল একত্রীকরণের পর দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সম সংখ্যক ভোট পেয়েছেন এবং তাদের কোন একজনের জন্য একটি ভোট দেওয়া হলে তিনি নির্বাচিত ঘোষিত হওয়ার অধিকারী হবেন সে ক্ষেত্রে, রিটার্নিং অফিসার তাৎক্ষণিক অনুরূপ প্রার্থীদের সামনে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন। লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে পড়বে তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যা তাকে নির্বাচিত বলে ঘোষিত হওয়ার অধিকারী করবে।

উপস্থিত সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তাদের নির্বাচনী এজেন্টের সামনে লটারি হবে। এই লটারির পুরো কার্যক্রমটি কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ করবেন। লিপিবদ্ধ কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তাদের নির্বাচনী এজেন্টদের স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে।

একত্রীকরণের বিবরণী ও নির্বাচনই রিটার্ন পাঠাবে যেভাবে

নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৩৯ অনুসারে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন। ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম এবং তিনি কত ভোট (অঙ্ক ও কথায়) পেয়েছেন তার উল্লেখ থাকবে। অতঃপর সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসার/অন্য কোন কর্মকর্তার মাধ্যমে আগামী ৮ জানুয়ারি মধ্যে (প্রয়োজনে রাতে) অবশ্যই নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একীভূত ফলাফলের বিবরণীসহ একটি রিটার্ন (প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার জন্য পৃথক পৃথক রিটার্ন) পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। 

এমএইচএন/এসকেডি