আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ মানুষের অভিযোগ ও তথ্য আদান প্রদানের জন্য ‌‘আইন শৃঙ্খলা সমন্বয় সেল’ গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচনকালীন বিশেষায়িত এ সেল ৯৯৯ এর দশটি ডেডিকেটেড স্টেশনের মাধ্যমে সেবা দেবে। আজ (১৮ ডিসেম্বর) থেকে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে ৯৯৯ এ সেবাপ্রত্যাশীদের চাহিদা, ৯৯৯ প্রতিনিধির রেসপন্স এবং আইনগত পদক্ষেপ যথাযথভাবে নেওয়া হচ্ছে কি না এসব পর্যবেক্ষণ করবে এ সেল।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা এবারের নির্বাচনে ৯৯৯ কে ভিত্তি ধরে সেবা দেব। নির্বাচনকালীন যেকোনো অভিযোগ কিংবা তথ্যের জন্যও জাতীয় জরুরি সেবার এ নম্বরটি ব্যবহার করা যাবে। সাধারণ মানুষের কাছে তো আর ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি, কিংবা রিটার্নিং কর্মকর্তার নম্বর থাকে না। পুলিশ, বিজিবি কিংবা র‍্যাবের নম্বরও থাকে না। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে ভোটারদের সুবিধার্থে ৯৯৯ এর দশটি বিশেষায়িত স্টেশনকে নির্বচনকালীন সেবা সরবরাহের জন্য রাখা হয়েছে। এখানে (৯৯৯) কল দিলেই ১ প্রেস করে সাধারণ সেবা এবং ২ প্রেস করে নির্বাচনকালীন সেবা পাওয়া যাবে। ২ প্রেস করেই আপনাকে একজন প্রতিনিধি জিজ্ঞাসা করবেন কোথায় কথা বলতে চান? আপনি যদি কুমিল্লার কোনো ওসির সঙ্গে কথা বলতে চান তাহলে ওই প্রতিনিধি আপনাকে সেই ওসির সঙ্গে টেলিকনফারেন্সে কথা বলতে সাহায্য করবেন। মোট কথা আপনার যেখানেই কথা বলা প্রয়োজন সেখানেই কথা বলতে পারবেন। আপনার অভিযোগটি জানাতে পারবেন। অথবা এসময়ে আপনি যদি কোনো বিপদে পড়েন এবং মনে করেন বিজিবির সহায়তা লাগবে সেক্ষেত্রেও আপনার নিকটস্থ বিজিবি ইউনিটে যোগাযোগ করতে সহায়তা করা হবে।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমরা এ সেল থেকে দেখব— যারা সেবাপ্রত্যাশী তারা সেবা পাচ্ছেন কি না, কল করার পর ৯৯৯ স্টেশনের প্রতিনিধিরা তাদের রেসপন্স করছেন কি না, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না।

তিনি আরও বলেন, এ নির্বাচনে ৯৯৯ এ কল করে সেনাবাহিনীর সহায়তা পাওয়া যাবে না। আমরা ইউএনও, ডিসি, এসপি, আনসার, বিজিবি এবং র‌্যাবকে নিয়ে এ সেবা দিতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আজ ১৮ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টার এ সেবা আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। 

এমএম/এমএ