বাড্ডায় বন্ধুর লাঠির আঘাতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
রাজধানী বাড্ডার হোসেন মার্কেটের সামনে বন্ধুর লাঠির আঘাতে মো. সালমান খান ওরফে ফেরদৌস (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সালমান বাড্ডা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাসেলকে (১৭) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
সালমান খান ঢাকার নবাবগঞ্জের বলমন্তর চর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে বাড্ডা এলাকায় ভাড়া থাকত তারা।
নিহত শিক্ষার্থীর বড় ভাই শাকিল বলেন, বাড্ডা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সালমান। সে আজ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল থেকে ওই স্কুলে ভলান্টিয়ারের কাজ করছিল। দুপুরে বাসায় এসে ভাত খেয়ে আবার স্কুলে চলে যায়। এরপর আসরের নামাজের পর শুনতে পাই আমার ভাইকে কারা যেন মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসিন গাজী বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে ধর্ম পরীক্ষার হলে জোরে কথা বলাকে কেন্দ্র করে সালমান রাসেলকে ধমক দেয়। তারা দুজনেই একই স্কুলে অষ্টম নবম শ্রেণির ছাত্র। এরই জেরে রাসেলের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড্ডার হোসেন মার্কেট এলাকায় রাসেল সালমানকে ডেকে এনে পরীক্ষার হলে ধমক দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে। এক পর্যায়ে রাসেল সালমানের ঘাড়ের বাঁ পাশে আঘাত করলে সালমান পড়ে গিয়ে পাশের দেয়ালের সঙ্গে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় মোহাম্মদ রাসেল নামে ওই কিশোরকে আটক করা হয়। এই ঘটনার একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এসএএ/এসকেডি