করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক বিধিনিষেধ চলছে। ফলে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তারপরও পণ্যবাহী পরিবহন, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে করে সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, কিছু মানুষ প্রাইভেটকার বা মোটরসাইকেলের জন্য ঘোরাঘুরি করছেন। কয়েকটি মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার টার্মিনালে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ মোটরসাইকেলে চেপেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন।

গাবতলী থেকে আরিচা ফেরিঘাটে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন সেলিম নামের এক যাত্রী। তিনি পাবনা যাবেন। গাড়ির জন্য দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে কয়েকজন মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে কথা বলেছেন। জনপ্রতি এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ করে ভাড়া চেয়েছেন বলে জানান তিনি। সাধারণ সময়ের চেয়ে ভাড়া অনেক বেশি চাওয়াতে তিনি যেতে পারছেন না। 

সেলিম বলেন, ‘আমি একটি রেস্তোরায় কাজ করি। লকডাউনের কারণে রেস্তোরা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ঢাকায় থেকে কী করব। একা থাকি। বাসায় রান্নার যে লোক ছিল তিনিও করোনার জন্য আসেন না। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। যতদিন কয়দিন লকডাউন থাকবে ততদিন বাড়িতেই থাকব।’

মোটরসাইকেল চালক রেজাউল দুজন যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী একজন যাত্রী বহন করা যায়। কিন্তু এখন গাড়ি না থাকায় ও যাত্রীদের চাহিদা বেশি থাকায় দুজন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি। পথে পুলিশ ধরলে কোনোভাবে তাদের বুঝিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে পাটুরিয়া ফেরিঘাট যাব। জনপ্রতি এক হাজার ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কারণ আসার সময় একেবারে খালি আসতে হয়।’
 
এ বিষয়ে গাবতলী এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ জানান, আমরা এখানে দায়িত্ব পালন করছি। কাউকেই সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অমান্য করতে দেওয়া হচ্ছে না। কাউকেই মুভমেন্ট পাশ ছাড়া চলাচল করতে দিচ্ছি না। কিছু কিছু মোটরসাইকেল বা প্রাইভেটকারে করে মানুষ যাচ্ছে। তবে সেটা আমাদের চোখে পড়লে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি।

পুলিশ জানায়, আমরা চেষ্টা করছি কেউ যেন যেতে না পারে। তবে অনেককেই বলছে জরুরি কাজ আছে বা অফিসের কাজের জন্য সাভার যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমাদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে। তবে অধিকাংশই মুভমেন্ট পাশ নিয়ে যাচ্ছেন।

এসআর/ওএফ